ডিবি হেফাজতে মা-ছেলেকে নির্যাতন: বিচার বিভাগীয় তদন্ত চায় মাইনরিটি ওয়াচ

ডিবি হেফাজতে নির্যাতনের শিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষ। ছবি: স্টার

ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি কার্যালয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা ৩ দিন শ্যামলী হালদার রুপা ও তার ছেলে দিগন্ত হালদারকে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের নামে অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে সংখ্যালঘুদের নিয়ে কাজ করা মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ।

আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকার ধামরাই উপজেলার বারবাড়িয়া মাঝিপাড়া এলাকায় ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাডভোকেট রবীন্দ্র ঘোষ।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা কোনো মামলা তদন্তের সময় কীভাবে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে, কতক্ষণ আটক রাখতে পারবে, কাউকে সন্দেহ হলে কীভাবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে তার সবকিছুই আমাদের দেশের প্রচলিত আইন ও পুলিশের বিধানে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে। কিন্তু এই পরিবারের সঙ্গে যা ঘটেছে সেখানে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা তার কোনো কিছুই অনুসরণ করেননি।'

'৩ দিন আটকে রেখে ওই নারীকে মারধর করার পাশাপাশি জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায়ে তার স্কুলপড়ুয়া কিশোর ছেলেকে মায়ের সামনেই হাতকড়া পরিয়ে ঝুলিয়ে পেটানো হয়েছে, যা অত্যন্ত অমানবিক। এটা পুলিশ করতে পারে না। মামলায় গ্রেপ্তার আরেক আসামি কীর্তনকে পুলিশি হেফাজতে ৩ দিন আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে, ডিবির ঢাকা জেলা উত্তর কার্যালয় থেকে দক্ষিণ কার্যালয়ে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে, যা পুরোপুরি মানবাধিকার লঙ্ঘন', বলেন রবীন্দ্র ঘোষ।

তিনি আরও বলেন, 'আমরা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাই এবং এরসঙ্গে জড়িত প্রত্যেক পুলিশ কর্মকর্তাকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাই।'

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে মাইনরিটি ওয়াচ শিগগির সংশ্লিষ্ট ডিবি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করবে বলেও জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডিবি পুলিশের ভয়ে গত ১ মাস এলাকা প্রায় পুরুষ শূন্য ছিল। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা সংশ্লিষ্ট ডিবি কর্মকর্তাদের বিচার দাবি করেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় ইউপি সদস্য ইমান আলী বলেন, 'ডিবির অত্যাচারে টানা ১ মাস এলাকায় কোনো পুরুষ মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি, তারা এতটাই আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Palak admits shutting down internet deliberately on Hasina's order

His testimony was recorded by the International Crime Tribunal's investigation agency following a questioning session held yesterday

1h ago