একা আছি ভালো আছি: মোনালিসা

মোনালিসা। ছবি: শেখ মেহেদী মোরশেদ/ স্টার

জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী মোনালিসা দীর্ঘ দিন ধরে আমেরিকায় বসবাস করছেন। আগামী বছর দেশে ফিরবেন তিনি। ৫ অক্টোবর তার জন্মদিন।

প্রবাস জীবনের ব্যস্ততাসহ নানা বিষয় নিয়ে মোনালিসা কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।

দ্য ডেইলি স্টার: দীর্ঘ দিন ধরে আমেরিকায় বসবাস করছেন, সব মিলে কেমন আছেন?

মোনালিসা। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

মোনালিসা: ভালো আছি। যতটুকু আছি তার জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। কাজের মধ্যে ডুবে থাকতে হয় এখানে। পাশাপাশি পড়ালেখাও করছি। দেশ থেকে বহুদূরে থাকলেও এখানে অনেক বাঙালি আছেন। বিভিন্ন সময় তাদের সঙ্গে দেখা হয়। আমি ভালো আছি।

ডেইলি স্টার: শোবিজের জন্যই আপনার এতো জনপ্রিয়তা, এতো পরিচিতি, সেই চেনা জয়গাটাকে মিস করেন না?

মোনালিসা: মিস করি না বললে ভুল হবে। মিস করি। এতো মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি এবং এখনো পাচ্ছি সেটা তো শোবিজে কাজ করার জন্যই। আজও মানুষ অমাকে ফেলে আসা জীবনের বিভিন্ন কাজগুলোর কথা বলেন। বিভিন্ন নাটকের নাম বলেন। এইসব তো একজীবনের বিরাট প্রাপ্তি। আমি তাই মনে করি। এভাবেই আমি দেখি।

ডেইলি স্টার: দেশ আপনাকে কতটা টানে?

মোনালিসা: দেশ আমাকে সবসময়ই টানে। দেশ আমাকে ভীষণ টানে। আমার মা আছেন। তিনি দেশে থাকেন। মাকে প্রতিদিন মনে পড়ে। দেশকে প্রতিদিন মনে পড়ে। দেশটা তো হৃদয়ে আছে। সবার আগে আমার দেশ। ইচ্ছে আছে আগামী মাসে দেশে ফিরব। বেশকিছু দিন থাকব। দেশে এসে অভিনয়ও করব।

মোনালিসা। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

ডেইলি স্টার: আগামীকাল (৫ অক্টোবর) আপনার জন্মদিন, কীভাবে কাটবে দিনটি?

মোনালিসা: জন্মদিন উপলক্ষে কোনো কাজ রাখিনি। ছুটিতে থাকব। আমার বন্ধুরা জন্মদিনে সারপ্রাইজ দেবেন। বন্ধুদের সঙ্গে কাটবে বিশেষ দিনটি। এছাড়া দেশ-বিদেশ থেকে প্রচুর মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হই প্রতিবছর জন্মদিনে। এবারও সেরকমই প্রত্যাশা ।

ডেইলি স্টার: একলা জীবন থেকে ২ জন হচ্ছেন কবে?

মোনালিসা: একা আছি ভালো আছি। কাজ নিয়ে আছি। আপাতত কাজ আর পড়ালেখা। অন্যকিছু ভাবছি না। কাজই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে।

ডেইলি স্টার: পূজায় ঘুরতে গেছেন এবার?

মোনালিসা: না। এবছর সময় পাইনি। এখানে পূজায় অনেক আনন্দ হয়। কয়েকবছর আগে গিয়েছিলাম। অনেক মজা করেছিলাম। কিন্তু এবার ইচ্ছে থাকার পরও সময় করতে পারিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Protests disrupt city life, again

Protests blocking major thoroughfares in Karwan Bazar and Shahbagh left the capital largely paralysed

1h ago