বিক্ষোভ চলছেই, যুক্তরাজ্য ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূতকে তলব ইরানের

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ইরানি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে মিছিল। ২৪ সেপ্টেম্বরের ছবি। ছবি: রয়টার্স

মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইরানজুড়ে বিক্ষোভের ঘটনায় 'হস্তক্ষেপ' ও 'শত্রুভাবাপন্ন মিডিয়া কাভারেজের' অভিযোগ তুলে যুক্তরাজ্য ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ইরান।  

আজ রোববার ইরানের সংবাদসংস্থা আইএসএনএর বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, লন্ডনভিত্তিক ফার্সি ভাষার সংবাদমাধ্যমের 'শত্রুভাবাপন্ন চরিত্রের' প্রতিক্রিয়ায় শনিবার যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

নরওয়েজিয়ান রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট স্পিকারের 'হস্তক্ষেপকারী অবস্থান' ব্যাখ্যা করার জন্য, যিনি টুইটারে বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন। 

'অনুপযুক্ত পোশাক' পরার অভিযোগে ইরানের নীতি পুলিশের হাতে আটক মাহসা আমিনি (২২) গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে মারা যান।

এ ঘটনায় গত শনিবার থেকে ইরানের পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। মাহসা আমিনিকে পুলিশি হেফাজতে মারধর করার অভিযোগ আনেন বিক্ষোভকারীরা।

১ সপ্তাহেরও বেশি আগে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ইরানজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এবং কয়েক বছরের মধ্যে দেশটিতে হওয়া সবচেয়ে বড় বিক্ষোভে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে নারীরা এ বিক্ষোভে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। হিজাব পুড়িয়ে, চুল কেটে ফেলে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা।

ইরানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের তথ্য অনুসারে, বিক্ষোভে দেশটির বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৪১ জন নিহত হয়েছেন।

বিক্ষোভের ফুটেজ ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে দেশটির কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট এবং মোবাইল পরিষেবা সীমিত করে রেখেছে।

তবে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, 'ইরান মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে' এবং তিনি আমিনির মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেছেন, 'বিশৃঙ্খলা' অগ্রহণযোগ্য এবং ইরানকে অবশ্যই এই বিক্ষোভ মোকাবিলা করতে হবে। 

মার্কিন পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর দিকে ইঙ্গিত করে জাতিসংঘে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, 'আমিনির ঘটনার ব্যাপক কাভারেজ আসলে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Effective tariff for RMG exports to US climbs to 36.5%: BGMEA

The tariff will be a bit less if 20% of the cotton used in garment production is sourced from the USA

1h ago