এসএসসি পরীক্ষার কক্ষে ফেসবুক লাইভ, ২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

গাজীপুরের শ্রীপুরে এসএসসি পরীক্ষার কক্ষে মোবাইল ফোনে ফেসবুক লাইভ করার অভিযোগে ২ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।

আজ শনিবার বিকেলে তদন্ত শেষে ২ জনকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম।

ফেসবুক লাইভে আসার ঘটনা ঘটেছে শ্রীপুরের হাজী ছোট কলিম উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রে। বহিষ্কৃত ২ জন উপজেলার ধনুয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ওই কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ, তদন্ত কর্মকর্তা ও শিক্ষকরা জানান, গত বৃহস্পতিবার হাজী ছোট কলিম উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রের ৯ নম্বর কক্ষে ৪৪ জন পরীক্ষার্থী গণিত পরীক্ষা দিচ্ছিল। এ সময় ধনুয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের এক পরীক্ষার্থীর মোবাইল ব্যবহার করে আরেক পরীক্ষার্থী নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে যায়। পরীক্ষা কক্ষের দৃশ্য লাইভে দেখাতে থাকে সে।

বিষয়টি জানতে পেরে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর আজ বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম ওই কেন্দ্রে যান। ভিডিও দেখে ৮ পরীক্ষার্থী এবং ২ কক্ষ পরিদর্শককে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ২ শিক্ষার্থীর ফেসবুকে লাইভ করার বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন ইউএনও।

তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করে শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরুল আমিন বলেন, 'তদন্তে ২ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষার কক্ষ থেকে ফেসবুক লাইভ করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পরীক্ষার কক্ষ পরিদর্শক আফসার উদ্দিন ও আমিনুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তারা ইতোমধ্যে নোটিশের লিখিত জবাব দাখিল করেছেন। তাদের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করার পর তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।'

পরীক্ষার কক্ষে তারা মোবাইল কীভাবে নিতে পারল, সেই বিষয়ে জানতে চাইলে হাজী ছোট কলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব আবদুল হান্নান সজল বলেন, 'পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রবেশমুখেই পরীক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি করে ভেতরে প্রবেশ করানো হয়। ওই ২ পরীক্ষার্থী হয়তো বাইরে থেকে মোবাইল এনে থাকতে পারে।'

হাজী ছোট কলিম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এবার উপজেলার ৯টি স্কুলের ১ হাজার ৮১৮ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

5h ago