মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি যুবকের পা বিচ্ছিন্ন

বান্দরবান

বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের বাইশফাঁড়ি সীমান্তের কাছে 'মাইন বিস্ফোরণে' বাংলাদেশি এক যুবক আহত হয়েছে।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আলম ডেইলি স্টারকে জানান, আজ শুক্রবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি চাকমা পাড়া সংলগ্ন সীমান্তের ৩৫ নম্বর পিলার থেকে মিয়ানমার ভূখণ্ডের ১০০ গজের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে।

তিনি বলেন, 'ঘটনায় আহত স্থানীয় যুবকের নাম অংথোয়াইং তঞ্চঙ্গা (২২)। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি চাকমা পাড়ার বাসিন্দা। মাইন বিস্ফোরণে তার একটি পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।'

স্থানীয়দের বরাতে ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি চাকমা পাড়া সীমান্তের ৩৫ নম্বর পিলার সংলগ্ন এলাকায় আকস্মিক বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মিয়ানমার ভূখণ্ডের ১০০ গজের মধ্যে এক যুবককে আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন।'

'ওই যুবকের একটি পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত যুবককে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ এনজিও পরিচালিত হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান,' বলেন তিনি।

স্থানীয়রা জানান, সকালে সীমান্ত এলাকায় গরু চড়াতে যান অংথোয়াইসহ স্থানীয় কয়েকজন যুবক। গরু সীমান্তের শূণ্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের ভেতরে ঢুকে পড়ে। এসময় তিনি গরু ফিরিয়ে আনতে গেলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের পুলিশ বক্সে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য মো. রিপন চৌধুরী বলেন, 'বিকালে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত এক পাহাড়ি যুবককে হাসপাতালে আনা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠান। তার বাম পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।'

জানতে চাইলে ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক সোহাগ রানা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে পারবো না। কারণ এটি সীমান্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়।' 

এ বিষয়ে কিছু জানার থাকলে বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি। 

নাইক্ষ্যছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি স্হানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে এক যুবক আহত হওয়ার ঘটনাটি সম্পর্কে জেনেছি। এ ঘটনার পর বিজিবি সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছে।'

সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত স্হানীয়দের সর্তকতার সঙ্গে চলাফেরার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

ঘটনার ব্যাপারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

Comments

The Daily Star  | English

‘Shockingly insufficient’

"The proposed decision to allocate USD 250 billion per year for all developing countries is shockingly insufficient," said the adviser

8h ago