সিআইডি পরিচয়ে ‘তুলে নেওয়ার’ অভিযোগ, ২ দিনেও সন্ধান মেলেনি ডা. শাকিরের

ডা. শাকির। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর রামপুরার বাসা থেকে ডা. শাকির বিন ওয়ালীকে সিআইডি পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার বাবা ডা. এ কে এম ওয়ালীউল্লাহ। গত রোববারের পর থেকে ছেলের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না বলে জানান তিনি।

আজ মঙ্গলবার এ কে এম ওয়ালীউল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত রোববার দুপুর ৩টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে সাদা পোশাকে ৪ জন আমার ছেলেকে নিয়ে যান। এ সময় তারা সিআইডির লোক বলে পরিচয় দেন।'

ওয়ালীউল্লাহ বলেন, 'আমার ছেলে শিক্ষাজীবনে ছাত্র শিবিরের সদস্য ছিল। ২০১৮-১৯ সালের দিকে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ধরে নিয়ে যায় এবং ১ মাস পর জামিনে বের হন। এখন সে আর কোনো ধরনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না।'

তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে রামপুরা থানায় গেলে পুলিশ সেটি নেয়নি অভিযোগ করে তিনি বলেন, 'থানা থেকে বলা হয়, পুলিশ কিছু জানে না। তারা জিডি নেয়নি তবে নোট নিয়েছে।'

ওয়ালী উল্লাহ আরও বলেন, 'তুলে নিয়ে যাওয়ার দিন রাত ১০টার দিকে ৪-৫ জনের একটি দলে বাসায় এস সিআইডির পরিচয় দিয়ে শাকিরের ঘর তল্লাশি করে তার মোবাইল নিয়ে যায়। শাকিরের বিষয়ে জানতে চাইলে শাকির সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ে আছেন এবং তারা তদন্তের জন্য দ্বিতীয়বার বাসায় এসেছেন বলে জানান।'

'ছেলের খোঁজে গতকাল সোমবার মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে গিয়ে কোনো সন্ধান পাইনি। যোগাযোগ করার পরেও তারা আমাকে কোনো তথ্য দেয়নি। পরে আবারও রামপুরা থানায় জিডি করতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম মাওলা বলেন, তিনি নিশ্চিত, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার লোক আমার ছেলেকে নিয়ে গেছেন। এ কারণে জিডি করা সম্ভব নয়,' যোগ করেন তিনি।

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ডা. শাকিরের পরিবার থেকে জিডি করতে থানায় এসেছিল। আমরা তাদের বক্তব্য নোট নিয়েছি। খোঁজ নিচ্ছি।'

তবে তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে সিআইডি।

সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই নামে কাউকে তুলে আনা হয়নি।'

Comments

The Daily Star  | English

Renewable ambitions still mired in uncertainty

Although the Awami League government made ambitious commitments to renewable energy before being ousted by a mass uprising in August last year, meeting those lofty goals remains a distant dream for the country.

12h ago