গীতিকার-শিল্পী-যন্ত্রশিল্পীদের স্মরণে গাজী মাজহারুল আনোয়ার
অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা গাজী মাজহারুল আনোয়ার মৃত্যুবরণ করেন গত ৪ সেপ্টেম্বর। এই কিংবদন্তির স্মরণে আজ সোমবার বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও গীতিকবি সংঘের যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, গাজী মাজহারুল আনোয়ারের স্ত্রী জোহরা গাজী, গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, গীতিকবি সংঘের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লিটন অধিকারী রিন্টু।
এছাড়া, স্মরণসভায় দেশের খ্যাতিমান কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, যন্ত্র শিল্পীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আবিদা সুলতানা, রফিকুল আলম, খুরশীদ আলম, শেখ সাদী খান, কুমার বিশ্বজিৎ, গীতিকার মনিরুজ্জান মনির, নকীব খান, ফোয়াদ নাসের বাবু, গাজী আবদুল হাকিম, মনির খান, রবি চৌধুরী, শহীদুল্লাহ ফরায়জি, আসিফ ইকবাল, জুলফিকার রাসেল, গোলাম মোর্শেদ, গাজী মাজহারুল আনোয়ারের সন্তান উপল ও দিঠিসহ অনেকে।
গাজী মাজহারুল আনোয়ার ২০ হাজারের বেশি গান লিখেছেন। ২০০২ সালে একুশে পদক পান এবং ৫ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।
তার কালজয়ী গানের তালিকায় আছে, 'জয় বাংলা বাংলার জয়', 'আছেন আমার মোক্তার', 'এক তারা তুই দেশের কথা', 'গানের কথায় স্বরলিপি লিখে', 'শুধু গান গেয়ে পরিচয়', 'এই মন তোমাকে দিলাম', 'ইশারায় শীষ দিয়ে', 'চোখের নজর এমনি কইরা', 'এই মন তোমাকে দিলাম', 'চলে আমার সাইকেল হাওয়ার বেগে' ইত্যাদি।
গাজী মাজহারুল আনোয়ার কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তালেশ্বর গ্রামে ১৯৪৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সালে রেডিও পাকিস্তানে গান লেখার মধ্য দিয়ে তিনি পেশাগত জীবন শুরু করেন।
Comments