ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠে জাবির-শিয়াওতেকের ইতিহাস

ছবি: টুইটার

ওন্স জাবির নাকি ইগা শিয়াওতেক? ইউএস ওপেনের রানির মুকুট উঠবে কার মাথায়? এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। তবে এরই মধ্যে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন দুজন। পোল্যান্ড ও তিউনিসিয়ার প্রথম নারী হিসেবে যথাক্রমে শিয়াওতেক ও জাবির জায়গা করে নিয়েছেন ইউএস ওপেনের ফাইনালে।

বৃহস্পতিবার আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে পিছিয়ে পড়েও বেলারুশের আরিনা সাবালেঙ্কাকে ৩-৬, ৬-১ ও ৬-৪ গেমে হারান শিয়াওতেক। একই ভেন্যুতে আরেক সেমিতে ফ্রান্সের ক্যারোলিনা গার্সিয়াকে ৬-১ ও ৬-৩ গেমে উড়িয়ে দেন জাবির। আগামীকাল শনিবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ২টায় আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামেই অনুষ্ঠিত হবে আসরের নারী এককের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ।

বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর তারকা ২১ বছর বয়সী শিয়াওতেক এখন পর্যন্ত দুটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন। দুটিই ফরাসি ওপেন। এবার প্রথমবারের মতো ইউএস ওপেন জেতার হাতছানি রয়েছে তার সামনে।

২৮ বছর বয়সী জাবিরের মুখোমুখি হওয়া নিয়ে শিয়াওতেক বলেছেন, 'তার সঙ্গে খেলা সব সময়ই কঠিন এবং আমি একেবারে নিশ্চিত যে ফাইনালে দুজনের শারীরিক শক্তির পরীক্ষা হবে। তার হাতে দারুণ সব শট রয়েছে এবং বেজলাইনে সে খুবই দৃঢ় অবস্থানে থাকে। তার বিপক্ষে আমাকে খুবই সতর্ক থাকতে হবে। জানি না শেষ পর্যন্ত কী হবে। এই মুহূর্তে আমি কেবল ফাইনালে উঠতে পারাটাকে উপভোগ করতে চাই।'

পঞ্চম বাছাই জাবিরের লক্ষ্য থাকবে প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম উঁচিয়ে ধরা। কেবল তিউনিসিয়ার নয়, প্রথম আফ্রিকান নারী হিসেবে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন ইউএস ওপেনের ফাইনালে। এছাড়া, গত জুলাইয়ে তিনি প্রথম আরব খেলোয়াড় ও আফ্রিকান নারী হিসেবে পা রেখেছিলেন উইম্বলডনের ফাইনালেও। কিন্তু কাজাখস্তানের এলেনা রিবাকিনার কাছে হেরে যান তিনি।

গার্সিয়াকে হারানোর পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জাবির বলেছেন, 'আমার দারুণ লাগছে। উইম্বলডনের ফাইনালে হারের পর থেকে আমি অনেক চাপে ছিলাম। পারফরম্যান্স করে চাপমুক্ত হতে পেরে ভালো লাগছে।'

শিয়াওতেক ও জাবির এখন পর্যন্ত চারবার পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছেন টেনিস কোর্টে। তাদের মধ্যে চলছে ২-২ ব্যবধানে সমতা। ইউএস ওপেনের ফাইনালে জিতে এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি নতুন ইতিহাস গড়ার সুযোগ রয়েছে দুজনের সামনে।

Comments

The Daily Star  | English

Ending impunity for crimes against journalists

Though the signals are mixed we still hope that the media in Bangladesh will see a new dawn.

14h ago