ছক্কা হাঁকানোর বিশ্বাস নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন নাসিম

ছবি: টুইটার

নাসিম শাহের মূল কাজটা বল হাতে। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে নায়কে রূপান্তরিত হলেন এই তরুণ ডানহাতি পেসার। তার বীরত্বে আফগানিস্তানকে বিদায় করে এশিয়া কাপের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল পাকিস্তান। নাসিম জানালেন, ছক্কা মারার বিশ্বাস নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি।

বুধবার আসরের সুপার ফোরের ম্যাচে ১ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয়ে ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের করা ১২৯ রান তারা পেরিয়ে যায় ৪ বল হাতে রেখে।

শারজাহর উইকেট ছিল বেশ মন্থর। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সাদামাটা সংগ্রহে প্রতিপক্ষকে বেঁধে ফেলেন পাকিস্তানের বোলাররা। এরপর আফগানিস্তানও বল হাতে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। কিন্তু ১৯ বছর বয়সী নাসিমের কারণে সেটা তাদের নাগালের বাইরে থেকে যায়। ফলে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে আফগানদের।

শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ১১ রান, হাতে কেবল ১ উইকেট। ম্যাচ তখন হেলে আফগানিস্তানের দিকে। কিন্তু নিজের আগের তিন ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেওয়া ফজলহক ফারুকি হারিয়ে ফেলেন ছন্দ। ইয়র্কার করার ব্যর্থ চেষ্টায় টানা দুটি ফুল টস দিয়ে বসেন এই বাঁহাতি পেসার। লং অফ দিয়ে জোড়া ছক্কা হাঁকিয়ে সমীকরণ মিলিয়ে পাকিস্তানকে উল্লাসে মাতান নাসিম।

ম্যাচের পর রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে আলাপে নাসিম জানান, আসিফ আলি আউট হওয়ার পর পাল্টে যায় তার ভাবনা, 'আমি যখন ক্রিজে যাই, আসিফ সেখানে ছিলেন এবং আমার কাজ ছিল তাকে স্ট্রাইক দেওয়া। কিন্তু যখন তিনি আউট হয়ে যান, সব দায়িত্ব আমার ওপর এসে পড়ে।'

নেটে ছক্কা মারার অনুশীলনের অভিজ্ঞতা থাকায় নাসিমের আস্থা ছিল নিজের ওপর, 'যখন আমি ব্যাট করতে নামি, আমার বিশ্বাস ছিল যে আমি ছক্কা হাঁকাতে পারব। আমি ছক্কা মারার অনুশীলন করি। ওদের ফিল্ডিং সাজানো দেখে আমি জানতাম যে ইয়র্কার বল করা হবে। বিশ্বাস থাকাটা জরুরি। আমি নেটে ছক্কা মারার অনুশীলন করি এবং আমি আমার ব্যাটও পাল্টে ফেলেছিলাম। এটা কাজে দিয়েছে।'

এমন বিস্ময়কর পারফরম্যান্স স্মৃতিতে খোদাই করে রাখবেন নাসিম, 'যখন আপনার দলের নয় উইকেট পড়ে যায়, তখন প্রত্যয় থাকে না বললেই চলে। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। এটা আমার জন্য একটি স্মরণীয় ম্যাচ হয়ে থাকবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Mindless mayhem

The clashes between students of three colleges continued yesterday, leaving over 100 injured in the capital’s Jatrabari.

5h ago