'আমার জীবনে আগে কখনো এমন শট চেষ্টা করিনি'
ম্যাচের ফলাফল তখন প্রায় নির্ধারিত। নজিবউল্লাহ জাদরানের বিধ্বংসী ইনিংসে জয়ের খুব কাছেই আফগানিস্তান। কিন্তু সে সময় মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে অবিশ্বাস্য এক শট মেরে ছক্কা হাঁকান এ আফগান ব্যাটার। যে শটের বর্ণনা ক্রিকেটীয় ভাষায় দেওয়া প্রায় অসম্ভবই বটে।
সাইফউদ্দিনের সে ডেলিভারিটি ছিল বাউন্সার যা বাঁহাতি নাজিবউল্লাহর মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছিল। ডট কিংবা টপ-এজের আশায় এমন বল করেছিলেন সাইফ। কিন্তু জাদরান ছিলেন খুনে মেজাজে। এমন একটি শট খেললেন যা না পুল, না হুক, না স্কুপ, না আপারকাট। সম্পূর্ণ নতুন একটি শটের আবির্ভাব ঘটান। অনেকটা ব্যাকহ্যান্ডেড ব্যাডমিন্টন শটের অনুরূপ। শেষ মুহূর্তে যেন আকাশে বল পাঠিয়ে দেন যা উড়ে আছড়ে পড়ে স্কোয়ার-লেগ সীমানার বাইরে। অভিপ্রায় ও ক্লাসের মিশ্রণে আসে এ ছক্কা।
এই ধরনের শট স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাসী করে তোলে যে কোনো ব্যাটারকে। পাশাপাশি দলের জন্যও দারুণ কিছু। টাইগারদের বিপক্ষে সাত উইকেটের জয় তুলে নেওয়ার একদিন পর, টিম হোটেলে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় নাজিবউল্লাহর। সেই শট অনুশীলন করে শিখেছেন কিনা জানতে চাইলে, হেসে মাথা নাড়েন তিনি। এরপর বলেন, 'আমার জীবনে আগে কখনো এমন শট চেষ্টা করিনি।'
কিন্তু সেদিনের সেই শট যারা দেখেছেন তারা নিশ্চিতভাবেই বলবেন, শতভাগ নিবেদন দিয়েই সে শট মেরেছেন তিনি। এমনকি সমালোচকরাও ভিন্ন কথা বলবেন না। শট সম্পর্কে তেমন কিছু বর্ণনা করতে না পারলেও জানান কেন এতো সহজে তা মারতে পেরেছেন, 'ঠিক আছে, আমি অনেক টেনিস-বল ক্রিকেট খেলেছি।'
হয়তো ছোটবেলায় টেনিস-বল ক্রিকেট খেলার কারণেই নমনীয় কব্জিতে সে শট মারতে পেরেছিলেন। তবে সেই শটটি অনেকদিনই মনে থাকবে ভক্তদের।
Comments