সৈকতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করায় কক্সবাজারের ডিসিকে হাইকোর্টে তলব
সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ১১ বছর আগে নির্দেশ দেওয়ার পরও তা পালন না করায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মামুনুর রশিদকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
১৯ অক্টোবর মামুনুর রশিদকে আদালতে হাজির হতে আজ বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কক্সবাজারের ডিসিসহ ৫ সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নির্দেশনা না মানায় আদালত অবমাননার রুলও জারি করেছেন আদালত।
হাইকোর্ট রুলে কর্মকর্তাদের ব্যাখ্যা দিতে বলেছে, নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা কেন নেওয়া হবে না।
মামুনুর রশিদ ছাড়াও অপর ৪ কর্মকর্তা হচ্ছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, কক্সবাজারের পৌর মেয়র মো. মজিবুর রহমান, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ ও ডেপুটি টাউন প্ল্যানার তানভীর হাসান রেজাউল।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) দায়ের করা আদালত অবমাননার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই সমন আদেশ ও রুল জারি করেন।
এইচআরপিবির আইনজীবী মনজিল মুর্শিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, হাইকোর্ট ২০১১ সালের ৭ জুন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ঝিলোঞ্জা, সুগন্ধা ও লাবনী এলাকা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। কিন্তু তারা হাইকোর্টের রায় সঠিকভাবে বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ নেননি, যা আদালত অবমাননার সমতুল্য।
Comments