‘মিয়ানমারে নিজের ভিটেমাটিতে ফিরে যেতে চাই’

রোহিঙ্গা
কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন জাতিসংঘের মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত নোয়েলিন হেইজার। ছবি: স্টার

রোহিঙ্গা সংকট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বাংলাদেশ সফরে আছেন জাতিসংঘের মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত নোয়েলিন হেইজার। আজ মঙ্গলবার কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন তিনি।

উখিয়ার মধুরছড়ায় মহিলা মাল্টিপারপাস সেন্টার পরিদর্শনকালে নোয়েলিন হেইজার রোহিঙ্গা নারীদের সঙ্গে কথা বলেন। 

সেখানে উপস্থিত রোহিঙ্গা নারী মাহমুদা খাতুনের সঙ্গে কথা হয় দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদকের। মাহমুদা জানান, ২০১৭ সালে তার স্বামী নাজির হোসেন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হন। এরপর ১ ছেলে ও ৪ মেয়েসহ পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। 

মাহমুদা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হেইজার তাদের দুঃখ-কষ্টের কথা শুনতে চান। বাংলাদেশে তাদের জীবন কেমন যাচ্ছে, রোহিঙ্গারা ভালো আছে কি না, এমন প্রশ্ন করেন।'

জবাবে মাহমুদাসহ অন্যান্য রোহিঙ্গারা হেইজারকে বলেন, তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অবস্থা আগের তুলনায় উন্নত হয়েছে।

'তারপরও বাংলাদেশ তাদের নিজের দেশ নয়। তাদের দেশ মিয়ানমারে নিজের ভিটেমাটিতে তারা ফিরে যেতে চান,' বলেন মাহমুদা।

রোহিঙ্গা
উখিয়ার মধুরছড়ায় মহিলা মাল্টিপারপাস সেন্টার পরিদর্শন করছেন নোয়েলিন হেইজার। ছবি: স্টার

এর আগে সকাল ৯টায় উড়োজাহাজে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছান নোয়েলিন হেইজার। প্রথমে তিনি কক্সবাজার জেলা শহরে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের কার্যালয়ে যান। 

সেখান থেকে সড়ক পথে মধুরছড়ায় ৪ নম্বর ক্যাম্পে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সেবা ও নিবন্ধন কেন্দ্র, ই-ভাউচার আউটলেট ও মহিলাদের মাল্টিপারপাস সেন্টার পরিদর্শন করেন তিনি। 

এ সময় তিনি কেন্দ্রগুলোতে উপস্থিত রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষদের সঙ্গে কথা বলেন।

পরে তিনি ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কার্যক্রম শেষ কুতুপালং এলাকার ৫ নম্বর, বালুখালী এলাকার ১০ ও ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। 

ওইসব ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের জন্য পরিচালিত বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন এবং রোহিঙ্গাদের দাবি ও প্রত্যাশা নিয়ে আলাপ করেন জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত নোয়েলিন হেইজার।

কূটনৈতিক সূত্র জানায়, জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূতের এ সফর রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। সপ্তাহখানেক আগে প্রথমবারের মতো মিয়ানমার সফর করেন তিনি। ওই সফরের পরপরই তিনি বাংলাদেশে এলেন।

Comments

The Daily Star  | English

‘Shockingly insufficient’

"The proposed decision to allocate USD 250 billion per year for all developing countries is shockingly insufficient," said the adviser

6h ago