পদ্মা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে পাবনায় মানববন্ধন

ছবি: সংগৃহীত

পাবনার সুজানগর উপজেলায় পদ্মা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত নদী পাড়ের মানুষ। 

আজ শুক্রবার সকালে সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের বড়খাঁপুর গ্রামে আয়োজিত এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে কয়েক গ্রামের নারী-পুরুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে পাশের জেলা রাজবাড়ীর কয়েকজন প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ী সুজানগর উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পদ্মা নদী থেকে অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে বালু তুলছেন।

এই বালু ব্যবসায়ীরা স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় সুজানগরের মালিফা, কামারহাট, নাজিরগঞ্জ বোরখাপুর, বুলচন্দ্রপুর, খলিলপুর, হাসামপুর এলাকায় পদ্মা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করছেন। এতে ক্ষতির মুখে পড়ছেন এসব গ্রামের নদী পাড়ের মানুষ। বালু উত্তোলনের কারণে নদী পাড়ের বিভিন্ন এলাকায় দিনের পর দিন নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, বসত ঘর।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন গ্রামবাসী কামিন সরদার, শেখ সাদি, আলমগীর হোসেন, ইক্কা মোল্লা, আয়েন উদ্দিন, খোদেজা খাতুন, আমেনা খাতুন।

ভুক্তভোগী গ্রামবাসী আলমগীর বলেন, 'নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় নদী ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বাড়িঘর ও ফসলি জমি। প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীদের বাধা দিতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।'

নদী পাড়ের এসব গ্রামকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে অবিলম্বে পদ্মা থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করার দাবি জানান তিনি।

বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে ভাঙন ও ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগীরা। এ বিষয়ে প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার দাবি জানান তারা।

জানতে চাইলে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রওশন আলি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এসব এলাকায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের কোনো অনুমোদন নেই। কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।'

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পেলেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয় বলে জানান ইউএনও।

Comments

The Daily Star  | English

Jubo Dal leader dies in custody after 'jt forces picked him up'

The body of Touhidul Islam, 42, bore marks of trauma and injuries from his waist to the knees, family members said, alleging that he was tortured to death

1h ago