বিজয়-আফিফের ব্যাটে বাংলাদেশের ২৫৬

Afif Hossain
৮৫ রানের ইনিংসের পথে আফিফ হোসেন। ছবি- সংগ্রহ

হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে নামা বাংলাদেশের শরীরে ভাষায় শুরু থেকেই কোথায় যেন ঘাটতি। এনামুল হক বিজয় আর আফিফ হোসেন ছাড়া আর কারো ব্যাটে পাওয়া গেল না লড়াইয়ের তাড়না। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তো খেললেন অস্বাভাবিক এক মন্থর ইনিংস। আফিফ শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলকে পার করালেন আড়াইশ।

হারারেতে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ করেছে ৯ উইকেটে ২৫৬। ৮১ বলে ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন আফিফ, বিজয় করে যান ৭১ বলে ৭৬।

টস হেরে খেলতে নেমে তামিম ছিলেন জড়সড়ো। ধুঁকতে ধুঁকতে থিতু হওয়ার পথে থাকা বাংলাদেশ অধিনায়ক রান আউটে কাটা পড়েন বিজয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে। ক্রিজে এসে প্রথম বলেই ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিমও কোন রান না করেই ব্রেড ইভান্সের বলে আউট হন ক্যাচ দিয়ে।

৪৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ক্রিজে আসা মাহমুদউল্লাহ থিতু হতে আগের দিনের মতই নেন অনেক বেশি সময়। এক পাশে বিজয় ছিলেন সড়গড়। তার সাবলীল ব্যাটেই চালু থাকে রানের চাকা। একের পর এক ডটবলে চাপ বাড়ান মাহমুদউল্লাহ।

বিজয় সেই চাপ সামলে একা হাতে টানছিলেন দলকে। ৪৮ বলে ফিফটি তুলে গতি আরও বাড়ান তিনি। বড় বড় ছক্কায় যেভাবে এগুচ্ছিলেন, সেঞ্চুরিটা মনে হচ্ছিল তার পাওনা। কিন্তু লুক জঙ্গুইর অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে থামেন ৭১ বলে ৭৬ করে। ৬ চারের সঙ্গে ৪ ছক্কা মেরেছেন এই ডানহাতি।

চতুর্থ উইকেটে মাহমুদইল্লাহর সঙ্গে এতে ভাঙে তার ৭৭ রানের জুটি। ৯০ বলের জুটিতে ৪৭ বলে ৫২ করেন বিজয়। মাহমুদউল্লাহ স্রেফ ১৯ রান করতে লাগান ৪৩ বল। এতে বোঝাই যাচ্ছে দলকে কতটা পেছনে টেনেছেন তিনি।

এরপর আফিফের সঙ্গেও আরেক জুটি হয়েছিল মাহমুদউল্লাহর। যথারীতি সেখানেও তিনি মন্থর।  শেষ পর্যন্ত ক্রিজে তার যন্ত্রণাময় উপস্থিতি থামান এনগারাভার বল স্টাম্পে টেনে এনে। ৬৯ বলে তিনি ফেরেন ৩৯ করে।

যত চাপের পরিস্থিতিই হোক, অনভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে তার এমন অ্যাপ্রোচ আসলে ব্যাখ্যাহীন।

মাহমুদউল্লাহর বিদায় দেখে দমে না দিয়ে নিজের কাজ করে যেতে থাকেন আফিফ। টেল এন্ডারদের নিয়ে তিনি যোগ করেন বাকি রান।  ৫৮ বলে ফিফটি করার পর আরও হাত খুলে মারতে থাকেন তিনি।

মেহেদী হাসান মিরাজও সঙ্গ দিতে না পারলে শেষ তিন ব্যাটসম্যানকে নিয়ে আরও ৩৬ রান যোগ করেন তিনি।  বাঁহাতি এই তরুণ ৬ চারের সঙ্গে মারেন ২ ছক্কা। তার এই ইনিংস না হলে বাংলাদেশ ডুবতে পারত দুইশোর নিচে। তবে এই রান করেও স্বস্তিতে থাকার অবস্থা নেই। এর আগের দুই ওয়ানডেতে ৩০৩ ও ২৯০ রান করেও জিম্বাবুয়ের সঙ্গে পেরে উঠেনি বাংলাদেশ।

এবার উইকেটে বোলারদের রসদ কিছুটা বেশি। তাও এই ম্যাচ জিততে বোলারদের করতে হবে দারুণ বোলিং।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus returns home completing 4-day Japan tour

A flight of Singapore Airlines, carrying the CA landed at Hazrat Shahjalal International Airport at 12:15am on Sunday

1h ago