তামিমের চোখে, দুই দলের মধ্যে পার্থক্য 'চার সেঞ্চুরি'
ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সাত, জিম্বাবুয়ের ১৫। জিম্বাবুয়ে এই সিরিজে পাচ্ছে না তাদের প্রথম সারির পাঁচ ক্রিকেটারকে। কিন্তু খেলা দেখলে কে বলব এমনটা? দুই ম্যাচেই রান তাড়ায় তারা পেয়েছে দুর্দান্ত দুই জুটি, সেঞ্চুরি এসেছে চারটি। বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল দু'দলের তফাৎ দেখছেন এখানেই।
রোববার হারারেতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের জন্য সত্যিই উৎসবের দিন। বাংলাদেশের ২৯০ রান ১৫ বল আগেই টপকে আবারও ৫ উইকেটে জিতেছে তারা। ৯ বছর পর বাংলাদেশকে হারিয়ে জিতেছে ওয়ানডে সিরিজ।
প্রথম ম্যাচে ৩০৪ রান তাড়ায় ১৯২ রানের জুটিতে তামিমদের স্তব্ধ করে দিয়েছিলেন সিকান্দার রাজা ও ইনোসেন্ট কাইয়া। সেঞ্চুরি করেছিলেন দুজনেই। এবার ২৯১ রান তাড়ায় ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ২০১ রানের রেকর্ড জুটিতে রেজিস চাকাভাকে নিয়ে বাজিমাত করেন রাজা। আবারও সেঞ্চুরি করেন তিনি, জিম্বাবুয়ের ইতিহাসের দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে রাঙান চাকাভা।
ম্যাচ শেষে হারের কারণ ব্যাখ্যা করতে এসে তামিম জানান, দুই দলের মধ্যে মূল পার্থক্য করে দিয়েছে এই চার সেঞ্চুরি, 'পার্থক্য হচ্ছে দুই ম্যাচে তাদের চারটা সেঞ্চুরি হয়েছে আমাদের একটাও হয়নি। আমরা শুরুটা করেছিলাম কিন্তু কেউই কন্টিনিউ করতে পারিনি। উইকেট শুরু থেকেই ভাল ছিল।'
উইকেট ব্যাট করার জন্য ছিল ভীষণ ভাল। সেখানে ভালো শুরু পেয়েও বাংলাদেশ মাঝের ওভারে খেলা করে দেয় মন্থর। মাহমুদউল্লাহ এক পর্যায়ে ছিলেন ৫০ বলে ২৭ রানে। সেখান থেকে বেশ কিছুটা পুষিয়ে তিনি অপরাজিত থাকেন ৮৪ বলে ৮০ করে। তবে তিনশো ছাড়ানোর ভিত পেয়েও ২৯০ রানে আটকে যাওয়ায় ঘাটতি রয়েই গিয়েছিল।
তামিম অবশ্য মনে করছেন তাদের পুঁজিটা ছিল জুতসই। দুই স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের উপর ভরসা করেছিলেন তিনি, কিন্তু জিম্বাবুয়ে তাদের খেলেছে সাবলীলভাবে, 'একটা ভালো পুঁজি ছিল। আমাদের স্পিনারদের বিপক্ষে কাজটা সহজ ছিল না। কৃতিত্ব জিম্বাবুয়েকে দিতেই হয়। এই সিরিজে তারাই ভালো দল।'
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে গেছে। শেষ ম্যাচে হোয়াটওয়াশের বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়ানোর মিশন বাংলাদেশের। সেখানে নিজেদের সেরাটা দিতে চায় বাংলাদেশ, 'আমরা ভালো ক্রিকেট খেলিনি, সেজন্য আজ এই অবস্থায়। আমাদেরকে শেষটাই নিজেদের খেলাটা খেলতে হবে।'
Comments