কাইয়ার পর রাজার সেঞ্চুরি, হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ

ছবি: টুইটার

বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় মাত্র ৬২ রানে ৩ উইকেট পড়ে গেল জিম্বাবুয়ের। সেই চাপ সামলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকলেন ইনোসেন্ট কাইয়া ও সিকান্দার রাজা। বড় জুটি গড়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দুজনেই তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। প্রথমে কাইয়া, পরে রাজা। তাদের নৈপুণ্যের বিপরীতে হারের শঙ্কায় রয়েছে বাংলাদেশ।

শুক্রবার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৩০৪ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় হারারেতে ব্যাট করছে জিম্বাবুয়ে। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, তাদের সংগ্রহ ৪০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৪২ রান। ক্রিজে আছেন কাইয়া ১১৮ বলে ১০৩ ও রাজা ৮৪ বলে ১০৩ রানে। তাদের অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটির রান ১৬০। ১০ ওভারে হাতে ৭ উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের জয়ের জন্য দরকার আর মাত্র ৬২ রান।

বাংলাদেশের ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদের করা ৩৯তম ওভারে সেঞ্চুরির স্বাদ নেন কাইয়া ও রাজা দুজনেই। ক্যারিয়ারের মাত্র চতুর্থ ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো তিন অঙ্কের মাইলফলক স্পর্শ করলেন কাইয়া। মুখোমুখি হওয়া ১১৫তম বলেন শতরান পূরণ হয় তার। ওই ওভারের শেষ বলে রাজা পান এই সংস্করণে চতুর্থ সেঞ্চুরির দেখা। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে তিন অঙ্ক ছুঁতে তার লাগে মোটে ৮১ বল। সাত বছর পর ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি পেলেন রাজা। এই সংস্করণে তার সবশেষ সেঞ্চুরি ছিল ২০১৫ সালের অগাস্টে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।

উইকেটে যাওয়ার পর থেকে বাহারি সব শটে বাংলাদেশের বোলারদের ব্যতিব্যস্ত রেখেছেন রাজা। জুটিতে তিনি আছেন অগ্রণী ভূমিকায়। কাইয়াও হাফসেঞ্চুরির পর ধীরে ধীরে হাত খুলতে শুরু করেন। দুজনই অবশ্য একবার করে জীবন পান। ২৭তম ওভারে রাজাকে ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল। কিন্তু তাসকিনের বলে শর্ট কভারে সহজ ক্যাচ ফেলে দেন বদলি ফিল্ডার তাইজুল। তখন রাজার রান ছিল ৪৩। এরপর ৩৩তম ওভারে কাইয়ার দেওয়া ফিরতি ক্যাচ হাতে জমাতে ব্যর্থ হন বাঁহাতি পেসার শরিফুল। উল্টো বল পায়ে লাগায় ব্যথা পেয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। তখন কাইয়া ব্যাট করছিলেন ৭৪ রানে। অল্প সময়ের ব্যবধানে অবশ্য মাঠে ফেরেন শরিফুল।

এর আগে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৮ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আরেক ওপেনার লিটন দাসের সঙ্গে তার ১১৯ রানের উদ্বোধনী জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় টাইগাররা। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে তারা তোলে ২ উইকেটে ৩০৩ রান।

৮৮ বলে ৬২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তামিম। আহত অবসরে যাওয়া লিটন মাঠ ছাড়েন ৮৯ বলে ৮১ রানে। তিন বছর পর ওয়ানডেতে ফিরে এনামুল হক বিজয় খেলেন ৬২ বলে ৭৩ রানের আগ্রাসী ইনিংস। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম অপরাজিত থাকেন ৪৯ বলে ৫২ রানে। আরেক অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ শেষদিকে নেমে ১২ বলে অপরাজিত ২০ রান করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Protect our embassies, staff in India: Dhaka tells New Delhi

Condemns violent protests outside its Deputy High Commission in Kolkata

9m ago