৬০ দেশীয় পাখি বোটানিক্যাল গার্ডেনে অবমুক্ত
রাজধানীর মিরপুর থেকে ১টি ময়না, ৩২টি টিয়া, ৯টি ঘুঘু, ১টি চিল ও ১৭টি শালিকসহ মোট ৬০টি পাখি উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সেগুলো বোটানিক্যাল গার্ডেনে অবমুক্ত করা হয়।
আজ শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে পাখিগুলো উদ্ধার করেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অফিসের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিদর্শক নিগার সুলতানা।
নিগার সুলতানা বলেন, 'অবৈধ বন্যপ্রাণী ক্রয়-বিক্রয় ও বন্যপ্রাণী অপরাধ দমনের লক্ষ্যে আজ সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর মিরপুরের পাখির বাজারে অভিযান পরিচালনা করি। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখানকার অবৈধ বন্যপ্রাণী ব্যবসায়ীরা বন্যপ্রাণীগুলোকে সরিয়ে ফেলে। পরবর্তীতে সেখান থেকে কিছুদূর সরে গিয়ে অন্যত্র অবস্থান নেই। কিছুক্ষণ পরে আবারও সেখানে যাই।'
'দ্বিতীয়বারও গিয়েও দেশীয় পাখি না পেয়ে আবার কিছুদূরে গিয়ে অবস্থান নেই। এরপর তৃতীয়বারের মতো সেখানে যাই এবং বিভিন্ন খাঁচায় বন্দি অবস্থায় ৬০টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করি। তবে, অবৈধ ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বোটানিক্যাল গার্ডেনে গিয়ে উদ্ধারকৃত পাখিগুলোকে অবমুক্ত করি', বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, 'বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ অনুযায়ী দেশীয় পাখী ধরা, মারা, ক্রয়-বিক্রয় ও বহন করা দণ্ডনীয় অপরাধ। ধারা ৩৪ (খ) অনুযায়ী এসব অপরাধের জন্য অপরাধীরা ৬ মাসের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। আমাদের মধ্যে অনেকেই এখনো জানেন না যে, ময়না, টিয়া, মুনিয়া, ঘুঘু, শালিকসহ দেশীয় যেকোনো বন্যপ্রাণী লালন-পালন করা অপরাধ। এসব লালন-পালন করার অপরাধে জেল-জরিমানা হতে পারে, এটাও অনেকেই জানেন না। আমরা অভিযান পরিচালনা করে তাদের সতর্ক করছি।'
নিগার সুলতানা বলেন, 'গত বছরের জুন থেকে এ পর্যন্ত এক বছরের অধিককালে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলার পাখির বাজারে ৭৩টি অভিযান পরিচালনা করে ৮০০ বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে তা প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হয়েছে। এ সময়ে মোট ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও ১৬ জন অবৈধ পাখি ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।'
বন্যপ্রাণী ক্রয়-বিক্রয় ও বন্যপ্রাণী অপরাধ দমনের লক্ষ্যে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
Comments