পদ্মায় বুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ১৫ আসামি ৩ দিনের রিমান্ডে

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানি (২৬)। ছবি: সংগৃহীত

পদ্মা নদীতে ডুবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানির (২৬) মৃত্যুর ঘটনায় হওয়ায় মামলায় ১৫ জনকে ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

আসামিরা হলেন- শরিফুল হোসেন (৩১), শাকিল আহমেদ (৩০), সেজান আহমেদ (৩০), মো. রুবেল (৩৭), মো. সজিব (৩৩), মো. নুরুজ্জামান (৩৮), মো. নাসির (৩৭), মো. মারুফ (৩২), মো. আশরাফুল আলম (২৮), মো. জাহাঙ্গীর হোসেন রিপন (৪৬), মো. নোমান (৩২), মো. জাহিদ (৩২), এটিএম শাহরিয়ার মোমিন (৩০), মো. মারুফুল হক (৩৪) ও রোকনুজ্জামান জিতু (২৮)।

আজ শনিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুতুবপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই (নি:) শামছুল আলম তাদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফুজ্জামান এই রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা জানান, ১৪ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আসামিরা কৌশলে সানিকে পদ্মা নদীর মৈনট ঘাটে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে নদীতে ঠেলে দেয়। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ। ঘটনার পর অভিযুক্তরা নিজেদের বাঁচাতে ৯৯৯ নম্বরে পুলিশকে ফোন করে। পুলিশ এসে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। রাতেই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। নিখোঁজের ১৬ ঘণ্টা পর গতকাল নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের দল। তাই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের অবস্থান জানতে তাদের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

অন্যদিকে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় উল্লেখ করে রিমান্ড বাতিলসহ ১৫ জনের জামিনের আবেদন করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী।

আজ উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট আসামিপক্ষের আবেদন নাকচ করে তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৪ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে সেলফি তুলতে গিয়ে ঢাকার দোহারের মৌনট ঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে নিখোঁজ হন সানি।

এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই হাসানুজ্জামান বাদী হয়ে দোহার থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।

স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সানিসহ ১৬ বন্ধু মৌনট ঘাটে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ড্রেজার মেশিনে সেলফি তুলতে গিয়ে পিছলে পড়ে যান সানি। এ সময় তার বন্ধুরা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। তারা ৯৯৯ নম্বরে পুলিশকে ফোন করে। পুলিশ এসে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। রাতে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Power, Energy Sector: Arrears, subsidies weighing down govt

The interim government is struggling to pay the power bill arrears that were caused largely by “unfair” contracts signed between the previous administration and power producers, and rising international fuel prices.

8h ago