প্রত্যাবর্তনের স্মরণীয় গল্প লেখা নাদাল সেমিতে খেলতে পারবেন?

ছবি: টুইটার

প্রত্যাবর্তনের অসাধারণ গল্প লিখে টেইলর ফ্রিটজের বিপক্ষে স্মরণীয় জয় পাওয়া রাফায়েল নাদালকে ঘিরে রয়েছে অনিশ্চয়তার কালো মেঘ। উইম্বলডনের সেমিফাইনালে অভিজ্ঞ এই স্প্যানিশ তারকা খেলতে নামতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন চোটের অবস্থা বুঝে।

কোয়ার্টার ফাইনালে বুধবার সেন্টার কোর্টে চার ঘণ্টা ২০ মিনিটের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ৩-৬, ৭-৫, ৩-৬, ৭-৫, ৭-৬ (১০-৪) গেমে জেতেন নাদাল। চোট নিয়ে খেলতে নামা ৩৬ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়ের পিঠ এক সময় ঠেকে গিয়েছিল দেয়ালে, তাকে চোখ রাঙাচ্ছিল হার। দ্বিতীয় সেটের মাঝপথে চোটের কারণে কোর্ট ছেড়ে গিয়ে মেডিকেল টাইম-আউটও নিতে হয়। কিন্তু সব প্রতিকূলতা জয় করে ঘুরে দাঁড়িয়ে আরেকটি নান্দনিক পারফরম্যান্স উপহার দেন রেকর্ড ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী নাদাল।

ম্যাচের পর নাদাল জানান, শারীরিকভাবে ধুঁকলেও অদম্য মানসিকতা দেখিয়ে তিনি গর্বিত, 'আমি নিজেকে কেবল আরেকটু সুযোগ দিতে চেয়েছিলাম। তীব্র ব্যথা অনুভব করছিলাম। তবে কোনো টুর্নামেন্ট ছেড়ে দেওয়া সহজ নয়, উইম্বলডন থেকে সরে দাঁড়ানো সহজ নয়। আমি জানি না (কীভাবে পারলাম)… আমি ম্যাচ শেষ করতে চেয়েছি, লড়াই করে গিয়েছি। লড়াকু এই মানসিকতা নিয়ে এবং এই অবস্থার মধ্যেও যেভাবে লড়াই চালিয়ে গিয়েছি, তাতে আমি গর্বিত।'

আগামীকাল শুক্রবার সেমিফাইনালে নাদালের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার নিক কিরগিওস। অর্থাৎ ক্লান্তি আর চোট কাটিয়ে ওঠার জন্য খুব বেশি সময় মিলছে না তার। ফলে শঙ্কা জেগেছে, বীরত্ব দেখানোর পর আবার কোর্টে নামতে পারবেন তো তিনি? কারণ, তার চোট গুরুতর কিনা বুঝতে সেমির আগে আরও কিছু স্ক্যান করানো হবে। 

নাদালের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি আত্মবিশ্বাসী কোনো জবাব, 'আমি জানি না। সত্যি বলতে, এখনই কোনো স্পষ্ট জবাব আমি দিতে পারব না। কারণ, আজ (বুধবার) নিশ্চিত করে কিছু বলার পর কাল (বৃহস্পতিবার) দেখা গেল অন্য কিছু ঘটেছে। তখন আবার আমার কথা মিথ্যা হয়ে যাবে।'

দুইবারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন নাদাল ২০১৯ সালের পর এবারই প্রথম এই টুর্নামেন্টে খেলছেন। চলতি বছরের আগের দুই গ্র্যান্ড স্ল্যাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও ফরাসি ওপেনের শিরোপা জেতেন তিনি। চোটকে সঙ্গী করেই ক্যালেন্ডার গ্র্যান্ড স্ল্যামের দিকে এগোচ্ছেন নাদাল।

Comments

The Daily Star  | English
crimes against journalists

Ending impunity for crimes against journalists

Though the signals are mixed we still hope that the media in Bangladesh will see a new dawn.

16h ago