‘বন্যপ্রাণী ধরে এনে বিনোদনের জন্য প্রদর্শন আধুনিক যুগের সঙ্গে যায় না’
সংরক্ষণের নামে সাফারি পার্কে বন্যপ্রাণীদের বন্দী রাখার সমালোচনা করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।
'বন্যরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে' প্রবাদটি তুলে ধরে তিনি ব্যক্তিগতভাবে চিড়িয়াখানা ও সাফারি পার্কের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থানের কথা জানান।
তিনি বলেন, 'জঙ্গল থেকে বন্যপশুদের ধরে এনে বিনোদনের জন্য প্রদর্শন করা আধুনিক যুগের সঙ্গে যায় না।'
শনিবার খুলনা শহরের শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, 'আমি যখন গাজীপুরে যাই তখন সেখানে বন্দী বাঘ দেখে আমার মন খারাপ হয়। মনে হয়, তারা ক্লান্ত, স্থবির হয়ে আছে। তাদের কষ্ট ভাষায় প্রকাশের বাইরে।'
ভবিষ্যতে বন বিলুপ্তির আশঙ্কা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, 'এখন আমরা অনেক সাফারি পার্ক হতে দেখছি। এক সময় দেখা যাবে আমাদের প্রাকৃতিক বন বিলুপ্ত হয়ে যাবে আর এই সাফারি গড়ে উঠবে।'
তিনি দেশের স্বার্থে সুন্দরবনের বন রক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের আয়োজিত সেমিনারে সুন্দরবন সংরক্ষণে কাজ করা শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে এসব সংগঠনের কর্মীরা সরকারি পরিচয়পত্রের দাবি জানান, যাতে কোনো ঝামেলা ছাড়াই তারা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কাজ করতে পারেন।
এছাড়া প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, বন্যপ্রাণী উদ্ধারের জন্য সরঞ্জাম সরবরাহ এবং বন্যপশুদের বনে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
এসময় বন বিভাগের বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সার্কেলের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিম সংস্থাগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে সুন্দরবনের পশ্চিম ও পূর্বের বিভাগীয় বন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Comments