সিরাজগঞ্জে বাড়ছে যমুনার পানি, জুলাইয়ে ফের বন্যার আশঙ্কা

সিরাজগঞ্জে বিপৎসীমার নিচে নামার চার দিন পর আবারও বাড়তে শুরু করেছে যমুনার পানি। জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে ফের বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
বন্যার পানিতে এখনও সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব বাওইতারা গ্রামের একটি তাঁত ঘরের ছবি। ছবি: আহমেদ হুমায়ুন কবির তপু/ স্টার

সিরাজগঞ্জে বিপৎসীমার নিচে নামার চার দিন পর আবারও বাড়তে শুরু করেছে যমুনার পানি। জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে ফের বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে বন্যা কবলিত সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকার পানি না নামায় অনেকেই ঘরে ফিরতে পারেনি। নতুন করে বন্যা কবলিত হওয়ার আশঙ্কায় তাদের উদ্বেগ বেড়েছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বুধবার সকাল থেকে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পয়েন্টে যমুনার পানি বাড়তে শুরু করে। হার্ড পয়েন্টে পানি স্থিতিশীল থাকলেও আগামীকাল থেকেই বাড়তে পারে পানির প্রবাহ।

সিরজাগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক বিভাগ জানায়, বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পয়েন্টে যমুনার পানি ১৪ দশমিক ৪১ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে যা বিপৎসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার নিচে। গত ২৪ ঘণ্টায় কাজিপুর পয়েন্টে পানি বেড়েছে ১ সেন্টিমিটার। হার্ড পয়েন্টে যমুনার পানি অপরিবর্তিত ১২ দশমিক ৩৫ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, পূর্বাভাস অনুযায়ী ৩ জুলাই থেকে পানি বাড়ার কথা থাকলেও ৪ দিন আগেই পানি বাড়তে শুরু করায় আবারও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

উজানে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে যমুনায় পানি বাড়তে শুরু করেছে বলে জানান তিনি। জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে আবারও বন্যার আশঙ্কা করছেন তিনি।

এর আগে গত ২৫ জুন যমুনার পানি বিপৎসীমার নিচে নামে। এ বছর বন্যায় সিরাজগঞ্জের পাঁচটি উপজেলা যথাক্রমে সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, চৌহালি, বেলকুচি ও শাহজাদপুর উপজেলার ২৫ টি ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক গ্রাম বন্যা কবলিত হয়। 

এসব এলাকার নিম্নাঞ্চলের অনেক স্থান এখনও পানিবন্দি, আবারও নদীতে পানি বাড়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বন্যা কবলিতরা।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বড় কয়রা গ্রামে আশ্রয় নেওয়া শরিফ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ছোট কয়রা গ্রামে ভাঙন আর বন্যার পানিতে তার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। পানি কমার পর আবারও নতুন করে ঘর তৈরির স্বপ্ন ছিল, কিন্তু নদীতে পানি বাড়তে থাকায় তার ঘরে ফেরা এখন অনিশ্চিত।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব বাওইতারা গ্রামের তাঁত মালিক আসাদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বন্যার পানি ওঠায় প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে তাঁত। কারখানা থেকে পানি নেমে যাওয়ায় কিছুটা উঁচু করে আবারও কাজ শুরু করার চিন্তা করছিলেন। তবে নতুন করে বন্যার আশঙ্কা দেখা দেয়ায় কারখানা চালু করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

11h ago