বিপৎসীমার ওপরে যমুনা-ঝিনাই নদীর পানি, বাঁধ ভেঙে ১০ গ্রাম প্লাবিত

কালিহাতী উপজেলার সল্লা ইউনিয়নের আনালিয়াবাড়ী গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ ভেঙে প্রায় ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ছবি: মির্জা শাকিল

যমুনাসহ টাঙ্গাইলে সব নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী মধ্যবর্তী চরাঞ্চল ও তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার আউস ধান, পাট, তিল, বাদামসহ বিভিন্ন শাকসবজির খেত তলিয়ে গেছে।

কালিহাতী উপজেলার সল্লা ইউনিয়নের আনালিয়াবাড়ী গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ ভেঙে প্রায় ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

আজ রোববার ভোরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ভাঙনের সৃষ্টি হয়।

সল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের আনালিয়াবাড়ীর বাঁধটি প্রায় ১০০ মিটার ভেঙে গেছে। এতে নরদহি, আনালিয়াবাড়ী, ভাওয়াল, দেউপুর, বিলছাইয়া, ভাবলা ও দেউলাবাড়ীসহ প্রায় ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন এখানকার বাসিন্দারা।

যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ছবি: মির্জা শাকিল

তিনি আরও জানান, এ বাঁধটি গত বছরের আগের বছর ভেঙে গিয়েছিল। গতবছর মেরামত করা হয়।

তিনি জানান মীরহামজানি এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের আরও একটি বাঁধে গতবছর কাজ করেছিল। সেই বাঁধটি গতকাল বিকেলে দেবে গিয়ে ঘরবাড়ি নদীতে যাওয়ার উপক্রম হয়। পরে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা সেখান থেকে ঘরবাড়িগুলো ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সাজ্জাদ হোসেন তালুকদার জানান, আনালিয়াবাড়ীর এ বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় ওই এলাকার প্রায় ১০-১৫ হেক্টর জমির পাট ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

অপরদিকে বাসাইল উপজেলার বাসাইল দক্ষিণ পাড়া-বালিনা সড়কের একটি অংশ পানির তীব্র স্রোতে ভেঙে গেছে। ফলে ঝিনাই নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৬টা থেকে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ী পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ১৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নসহ বিভিন্নস্থানে নদী ভাঙনও অব্যাহত আছে।

এদিকে, সব নদীতে অব্যাহত পানি বৃদ্ধির কারণে পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাওয়ায় জেলায় বন্যার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

তবে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি আছে বলে জানিয়েছে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গণি। 

Comments

The Daily Star  | English
NBR Protests

NBR officials again announce pen-down strike

This time, they will observe the strike for three hours beginning at 9 am on June 23

2h ago