‘যারা নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন তারাই কেন্দ্রে আসবেন’

টাঙ্গাইলের মধুপু‌রের স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে- তিনি আসন্ন অরণখোলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী সভায় বলেছেন, 'যারা নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন তারাই কেন্দ্রে আসবেন।'
আমলীতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বক্তব্য দিচ্ছেন মধুপুর উপজেলা আ. লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও মির্জাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাদিকুল ইসলাম সাদিক। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

টাঙ্গাইলের মধুপু‌রের স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে- তিনি আসন্ন অরণখোলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী সভায় বলেছেন, 'যারা নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন তারাই কেন্দ্রে আসবেন।'

গত বুধবার বিকেলে উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নের আমলীতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আ. লীগ প্রার্থী আব্দুর রহিমের নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা দেন উপজেলা আ. লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও মির্জাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাদিকুল ইসলাম সাদিক। 

বৃহস্পতিবার তার ওই বক্তৃতার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছড়িয়ে পড়ে এবং ভিডিওতে সাদিকুল ইসলামকে সাদিককে এ কথা বলতে দেখা গেছে। তখন থেকেই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।

তবে, শুক্রবার রাতে এ অভিযোগ অস্বীকার করে সাদিকুল ইসলাম সাদিক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার বক্তব্যটি বিরোধীপক্ষ এডিট করে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়েছে। এই বক্তব্যটি আমার নয়।'

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে আ. লীগ নেতা সাদিকুল ইসলাম সাদিককে বলছেন, 'আমি আজকেও বলে দিতে চাই- ১৫ তারিখে ভোট হবে সারাদিন এবং নৌকা মার্কায় ভোট হবে। আপনারা ভোট দিবেন, যারা নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন তারাই কেন্দ্রে আসবেন। আর যারা নৌকায় ভোট দিতে নারাজ, এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রার পথে যারা বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন- দয়া করে কেন্দ্রে আসবেন না। আমরা কিন্তু আশপাশেই অবস্থান করব। এখানে ২৪০০ ভোট রয়েছে। যদি ২ হাজার ভোট কা‌স্ট হয় আমরা ২ হাজার ভোটই নৌকায় পেতে চাই।'

এ বিষয়ে মধুপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খন্দকার মোহাম্মদ আলী বলেন, 'বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। তবে এখনো এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

উল্লেখ্য, আগামী ১৫ জুন মধুপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নসহ টাঙ্গাইল জেলার ২১টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

11h ago