লিটনের আউটই ছিল টার্নিং পয়েন্ট, বলছে শ্রীলঙ্কা
ম্যাচ বাঁচাতে দরকার ছিল উইকেট আঁকড়ে পড়ে থাকা। সেই লক্ষ্যে সকালে মুশফিকুর রহিমকে হারালেও সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসের ব্যাটে এগুচ্ছিল বাংলাদেশ। ম্যাচ বাঁচানোর আশাও তখন বেশ তরতাজা। লাঞ্চের পর লিটনের উইকেট পড়তেই তাসের ঘর স্বাগতিক ইনিংস। শ্রীলঙ্কান উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নিরোশান ডিকভেলা দলের হয়ে কথা এসে এই উইকেটকেই বললেন ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
১৪২ রানে পিছিয়ে থেকে আগের দিনই ২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। এরপর মুশফিকুর রহিম-লিটন দাস গড়েন জুটি। ৪ উইকেটে ৩৪ রান নিয়ে দিন শুরু করে প্রতিরোধের চেষ্টায় ছিলেন তারা। দলের ৫৩ রানে মুশফিক বিদায় নিলে ফের আসে ধাক্কা।
এরপর সাকিবকে নিয়ে দারুণ জুটি পান লিটন। প্রথম সেশনে আর বিপর্যয় আসেনি। বাড়ে ম্যাচ বাঁচানোর আশা। তবে ১০৩ রানের জুটি থামে লাঞ্চের পর পরই। ফিফটি করা লিটন আসিতা ফার্নান্দোর বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে দারুণ রিটার্ন ক্যাচে পরিণত হন।
অসাধারণ রিফ্লেক্সে নিচু ক্যাচ হাতে জমান আসিতা। পরের ৮ ওভারের মধ্যেই গুটিয়া যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ডিকভেলা জানান, জুটি দেখে লাঞ্চের সময় অস্থিরতায় ভুগেননি তারা। লাঞ্চের পর লিটনের বিদায় তাদের রাস্তা হয়ে যায় সহজ, 'আমাদের ড্রেসিংরুম খুব স্থির ছিল। আমরা জানতাম আমরা কেবল এক উইকেট দূরে, তারপরেই টেল এন্ডার আসবে। আমরা স্নায়ু ধরে রেখেছিলাম। আমার মনে হয় আসিতা দুর্দান্ত একটা ক্যাচ নিয়েছে (লিটন দাসের), এটাই টার্নিং পয়েন্ট।'
ওই সময় লিটন আউট না হলে হয়ত সাকিবের সঙ্গে জুটিটি হতে পারত আরও লম্বা। ম্যাচ ড্র করার সম্ভাবনাও বাড়ত অনেক। লিটন আউট হওয়ার পর সাকিবের শরীরী ভাষাতেও ফুটে উঠে হেল ছেড়ে দেওয়ার সুর। আসিতারই একটি বাউন্সারে দ্বিধায় ভরা পুল শটে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে।
Comments