শূন্যের বিব্রতকর রেকর্ড বাংলাদেশের

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

শেষ ব্যাটার খালেদ আহমেদ শূন্য রানে আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিব্রতকর আরেকটি অভিজ্ঞতা হয়ে গেল বাংলাদেশের। দুই ইনিংস মিলিয়ে তাদের নয় ব্যাটার সাজঘরে ফিরলেন রানের খাতা খোলার আগেই। কোনো টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটারদের সবচেয়ে বেশি সংখ্যকবার শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড এটি।

শুক্রবার মিরপুর টেস্টের পঞ্চম দিনের মধ্যাহ্ন বিরতির পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস থামে মাত্র ১৬৯ রানে। ৯ উইকেটে পড়ার পর ক্রিজে গিয়েই বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন খালেদ। কিন্তু ব্যাটে-বলে হয়নি প্রত্যাশিত সংযোগ। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০ উইকেট নেওয়া শ্রীলঙ্কার পেসার আসিথা ফার্নান্দোর বল উপড়ে দেয় মিডল স্টাম্প।

খালেদ গোল্ডেন ডাকে বিদায় নিলে স্বাগতিকদের লিড দাঁড়ায় মাত্র ২৮ রান। দুই ওপেনার ওশাদা ফার্নান্দো ও দিমুথ করুনারত্নে ৩ ওভারেই তা পেরিয়ে লঙ্কানদের পাইয়ে দেন ১০ উইকেটের বিশাল জয়।

শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ছয় ব্যাটার মাঠ ছেড়েছিলেন শূন্য রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে সেই তালিকায় যুক্ত হয় আরও তিন জনের নাম। আগের দিন অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল ও অধিনায়ক মুমিনুল হককে খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়েছিল লঙ্কানরা। এদিন তাদের সঙ্গী হন ডানহাতি পেসার খালেদ।

কোনো টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটারদের সবচেয়ে বেশি শূন্যের আগের রেকর্ডটি হয়েছিল ২০১৮ সালে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে জ্যামাইকায় দুই ইনিংস মিলিয়ে তাদের আট ব্যাটার আউট হয়েছিলেন ডাকে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই ম্যাচে খেলা মুমিনুল ও তামিম ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ওই টেস্টেও শূন্যের তিক্ত স্বাদ নিয়েছিলেন। তামিমের অবশ্য আরও দুঃসহ অভিজ্ঞতা হয়েছে এবার। ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রাচীন সংস্করণে বাংলাদেশের মাত্র তৃতীয় ওপেনার হিসেবে 'পেয়ার' পান। দুই ইনিংসেই তিনি বিদায় নেন কোনো রান না করে।

উল্লেখ্য, সদ্যসমাপ্ত টেস্টে ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে এক ইনিংসে ছয়টি শূন্যের নজির দুবার গড়ে বাংলাদেশ। প্রায় ২০ বছর আগে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ইনিংসে ছয় টাইগার ব্যাটার রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। ২০০২ সালের ওই টেস্টে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। 

Comments

The Daily Star  | English

Confronting Dhaka’s battery-run rickshaw dilemma

One of the more recent manifestations of informal urban expansion is the proliferation of battery-run rickshaws.

6h ago