অর্থপাচার মামলা: নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ ট্রাস্টিকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

দুদকের প্রধান কার্যালয়। স্টার ফাইল ফটো

৩০৪ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) ট্রাস্টি বোর্ডের ৪ সদস্যকে এক দিনের জন্য জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

আসামিরা হলেন এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান ও মোহাম্মদ শাজাহান।

দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চাইলে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক কে এম এমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সমাজে তাদের মক্কেলরা নিজ নিজ অবস্থানে হাই-প্রোফাইল মর্যাদা ধারণ করে জানিয়ে কারাগারে তাদের প্রথম শ্রেণির ডিভিশন দেওয়ার জন্য চারটি পৃথক আবেদন জমা দিয়েছেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠান এবং দুদককে একদিনের জন্য জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

বিচারক তাদের জেল কোড অনুযায়ী কারাগারে প্রথম শ্রেণির ডিভিশন দেওয়ার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

গতকাল হাইকোর্ট তাদের আগাম জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে শাহবাগ পুলিশকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচারিক আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন।

গত ৫ মে এনএসইউর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন আজিম উদ্দিন আহমেদসহ চার আসামির বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপারসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালীকেও আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গির, গুতিয়াব ও পিতলগঞ্জ মৌজায় জমি কেনার জন্য কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে এনএসইউ।

বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০১৬ সালে ৮২৫০ ডেসিমেল জমির জন্য ৫০০ কোটি টাকা কোম্পানিকে দেয়। ২০১৯ সালে থেকে ২০২১ সালের মধ্যে একই মৌজায় আরও ৮৪৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমাল ভূমির জন্য ৩৫ দশমিক ১৫ কোটি টাকা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়।

দুদক একই মৌজার সংলগ্ন জমির বিক্রয়মূল্য বিবেচনায় নেয় এবং দেখতে পায় যে বিশ্ববিদ্যালয় কোম্পানিকে প্রায় ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা অতিরিক্ত পরিশোধ করেছে।

তদন্তে দুদক পেয়েছে হিলালী আজিমকে ১৩ কোটি টাকা, এম এ কাশেমকে ১৪ কোটি টাকা, বেনজীরকে ২৮ কোটি টাকা, রেহানাকে ১৪ কোটি টাকা এবং হাশেমকে ১২ কোটি ২৫ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন।

মামলার বিবৃতি অনুসারে, বেনজীর বেশ কয়েকটি এফডিআর খোলেন এবং মেয়াদপূর্তির আগে সেগুলো বন্ধ করে দেন।

Comments

The Daily Star  | English
Banking sector crisis

Why is the banking sector crisis so deep-rooted?

The regime-sponsored immorality to protect or pamper the financial gangsters not only eroded the future of the banking sector, but also made the wound too difficult to recover from.

4h ago