৬৮ রানের লিড নিয়ে থামল বাংলাদেশ
সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিমকে সেশনের শুরুতেই হারানোর পর আর বেশিক্ষণ টেকেনি বাংলাদেশের ইনিংস। টপাটপ তিন উইকেট হারানোর পর শরিফুল ইসলাম হাতের পেশিতে টান পেয়ে আর ব্যাট করতে না পারায় থামতে হয় মুমিনুল হকের দলকে।
শ্রীলঙ্কার ৩৯৭ রানের জবাবে চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনে গিয়ে ৪৬৫ রানে থেমেছে স্বাগতিকদের ইনিংস।
৬ উইকেটে ৪৩৬ রান নিয়ে নেমেই সেঞ্চুরিয়ান মুশফিককে হারায় বাংলাদেশ। মন্থর সেঞ্চুরিতে এক প্রান্ত আগলে পড়ে থাকা মুশফিক ধৈর্য হারান লাসিথ এম্বুলদেনিয়ার বলে।
বাঁহাতি স্পিনারকে সুইপ করতে গিয়েছিলেন। লেগ স্টাম্পে পিচ করা বল টার্ন করে ভেঙ্গে দেয় তার স্টাম্প। ২৮২ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ১০৫ রান করেন তিনি।
এরপর দ্রুতই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল দল। নাঈম হাসান অবশ্য দিচ্ছিলেন দৃঢ়তার আভাস। থিতুও হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ৫৩ বল খেলে থামেন তিনিও। ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে ৯ রান করা নাঈম ক্যাচ দেন ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে।
শরিফুলকে নিয়ে পরে ৩২ বল টিকে আরও ১৫ রান যোগ করেন তাইজুল ইসলাম। পেসার আসিতা ফার্নান্দো একের পর এক বাউন্সার টার্গেট করছিলেন তাদের। সেই পরিকল্পনাতেই আসে সফলতা। ফার্নান্দোর বাউন্সার পুল করতে গিয়ে পুরো ব্যাটে নিতে পারেননি তাইজুল। টপ এজ হয়ে ক্যাচ যায় ফাইন লেগে। ৪৫ বলে ২০ রানের ইনিংস ফেরেন তাইজুল।
স্বাগতিকদের ইনিংস অবশ্য থেমে যায় অদ্ভুতভাবে। কাসুন রাজিতার বল ঘুরিয়ে মারতে গিয়ে ব্যাটে লাগাতে পারেননি শরিফুল। হাত ঘুরে উলটো ব্যথায় কাতরে মাটিতে বসে পড়েন তিনি। দেখে মনে হয়েছে তারও হাতের পেশিতে টান পড়েছে।
এরপরই মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান বাংলাদেশের শেষ দুই ব্যাটসম্যান। অফিসিয়াল স্কোরার জানান, শরিফুল হয়েছেন রিটায়ার আউট, বাংলাদেশের ইনিংস তাই শেষ ৪৬৫ রানে।
লঙ্কানদের হয়ে সবচেয়ে সফল কনকাশন বদলি নামা রাজিতা। ২৪.১ ওভার বল করে ৬০ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি।
Comments