অনুভবের যৎসামান্য- ৫

একটি পুরনো বাড়ির গল্প

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

বাসা বদল করেছি। এটা আসলে কোনো খবরই নয়, এই শহরের ভাড়াটিয়ারা নানা কারণে বাসা বদল করেন, আমিও তার ব্যতিক্রম নই। সেই গল্প বলতেও বসিনি আজ, বলবো অন্য কথা। বলবো, দুটো পুরনো বাড়ির গল্প, সেই সঙ্গে পুরনো দিনের ঢাকা শহরটির কথাও। পড়তে পড়তে হয়তো আপনাদের মনে হবে, এই লেখার শিরোনাম হতে পারে – 'এ শহর যেমন হতে পারতো।'

যে বাসায় থাকতাম, সেটি ছিল বাগানবাড়ি আবাসিক এলাকায়। খুব বিখ্যাত বা পরিচিত মহল্লা নয়, বরং একটু নিভৃতেই লুকিয়ে আছে ওটা। মহল্লার বাইরের এলাকাটি বিখ্যাত এবং দারুণ ব্যস্ত। মালিবাগ রেলগেট সংলগ্ন এই মহল্লার ভেতরে ঢুকলে মনে হতো, এক টুকরো স্বর্গ যেন অপেক্ষা করে ছিল এতদিন। কেন? কারণ, এই মহল্লা ভরতি ছিল পুরনো দিনের বাড়ি আর প্রচুর গাছপালা। আর গাছ থাকলে তো পাখি থাকবেই, নানা জাতের পাখি, ভোরে তো বটেই, এমনকি চৈত্র্যের ভরদুপুরেও তাদের কলকাকলিতে ভরে থাকতো মহল্লাটি। কেবল পাখিই নয়, গাছ থাকলে প্রচুর ছায়া এবং মায়াও থাকে, থাকে গা-জুড়ানো শীতল হাওয়া, থাকে ফড়িং বা প্রজাপতির মতো নানারকম পতঙ্গও। ছোটবেলা থেকে এই এলাকার আশেপাশে থেকেছি, বারবার বেড়াতে গিয়েছি এই স্বর্গোদ্যানে। তারপর নিজেই বাসা ভাড়া নিয়ে থেকেছি প্রায় ন বছর। 

আমার বাসার দু'পাশে, উত্তর এবং দক্ষিণ দিকে ছিল দুটো পুরনো আমলের বাড়ি। ঢাকার পুরনো দিনের বাড়িগুলো হারিয়ে যাচ্ছে, সেখানে উঠেছে অথবা উঠছে বহুতল ভবন। নতুন প্রজন্মের জানার কোনো উপায়ই নেই, কেমন ছিল পুরনো দিনের বাড়িগুলো। সেজন্যই এই গল্প বলতে বসেছি। 

দুটো বাড়ির মালিকরাই বেশ শৌখিন ধরনের মানুষ ছিলেন বোধ হয়। দক্ষিণের বাড়িটির সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ক অধিকতর ঘনিষ্ট ছিল, তাদের গল্প বলবো, তবে তার আগে উত্তর দিকের বাড়িটার কথা বলি। এই ভয়াবহ বাণিজ্যিক যুগে ঢাকার ব্যস্ততম একটা সড়কের ঠিক পাশে কয়েক বিঘা জমিতে বাড়ির মালিক ধরে রেখেছিলেন গ্রামীণ পরিবেশ। সম্ভবত নিজের গ্রাম থেকে লোকজন এনে থাকবার ব্যবস্থাও করে দিয়েছিলেন। সেই লোকজন গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি, কুকুর ও বেড়াল পুষতো এবং ফলাতো নানা ধরনের সবজী। বিভিন্ন ধরনের পশুপাখি আর গাছপালা নিয়ে জায়গাটা যেন এক টুকরো স্বর্গ হয়ে ছিল। শীত এলে দেখা যেত খেজুর গাছগুলো কাটা হচ্ছে। নতুন কোনো দৃশ্য নয়, আমাদের গ্রামের বাড়িতেও গোটা তিরিশেক খেজুর গাছ ছিল।

শীতকালের বিকেলে গাছি এসে গাছ কাটতেন, হাড়ি লাগিয়ে যেতেন গাছে, প্রতিদিন ভোরে নামতো অমৃত-সমান মধুর মিষ্টি রস। কিন্তু এই শহরেও যে এমন দৃশ্য রচিত হতে পারে, সেটি আমার কল্পনার বাইরে ছিল। খেজুর গাছ, গাছি, খেজুর রস- এগুলো তো গ্রাম থেকেও হারিয়ে যাচ্ছে ইদানীং। পুরনো পেশাগুলো হারিয়ে যাচ্ছে, গাছ কেটে রস বের করার মতো অতি সূক্ষ্ণ কাজগুলো করার মতো মানুষও দুর্লভ হয়ে উঠছে। এতকাল পর দৃশ্যটির দেখা পেয়ে আমার নেশা ধরে যেত, প্রতিদিন সকাল-বিকাল বসে বসে গাছির কাজকর্ম দেখতাম আর ভাবতাম- একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে এবং নির্দিষ্ট ঋতুতে খেজুর গাছ কাটলে যে এমন মিষ্টি রস বের হয়, সেটা আগুনে জ্বাল দিলে যে গুড় তৈরি হয়- এই আবিষ্কারটি প্রথম কে বা কারা করেছিলেন? এই অভিনব আবিষ্কার কি আধুনিক যে-কোনো যন্ত্র আবিষ্কারের চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ? শুধু রসের কথাই বলি কেন, ধান গাছ থেকে যে বীজ বের হয় সেটি ভেঙে চাল বের করে পানিতে সিদ্ধ করলে ভাত হয়, এবং সেটি খেতে বেশ সুস্বাদু-  এই আবিষ্কারটিই বা কে করেছিলেন? প্রায় ধানগাছের মতোই যে গমগাছ, অথচ তার বীজটি যে ভিন্নভাবে খাওয়ার উপযোগী করে তুলতে হয়, এটাও নিশ্চয়ই কেউ আবিষ্কার করেছিলেন কোনো এক সুদূর অতীতে! একই বিস্ময় জাগে অন্যান্য খাবারের কথা ভাবলেও।

আমাদের অজস্র খাদ্যবস্তু আবিষ্কারের এই মহতি মহাযজ্ঞে কারা নিজেদেরকে নিযুক্ত করেছিলেন? তাঁরা এই কাজগুলো না করলে কি মানব-সভ্যতা এতদূর এগোতো? না, ইতিহাসে তাদের নাম লেখা নেই। অথচ সহস্র বছর ধরে মানুষের কল্যাণে কত কত মানুষই না এভাবে নিভৃতে কাজ করে গেছেন স্বীকৃতির আশা না করেই। আর আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এই আবিষ্কারগুলো এমনভাবে মিশে গেছে যে এগুলোকে আর 'আবিষ্কার' মনেই হয় না, মনে হয় যেন এগুলো চিরকাল এভাবেই ছিল! তা কিন্তু নয় মোটেই, বরং উল্টোটা। মানব-ইতিহাসের কোনো এক বা একাধিক মাহেন্দ্রক্ষণে এগুলো আবিষ্কার করেছিলেন কেউ-না-কেউ।

মানুষের ভেতরে হয়তো প্রকৃতিগতভাবেই অনুসন্ধান আর আবিষ্কারের প্রবণতা রয়েছে। অন্তত এসব আবিষ্কার দেখে সে-কথাই মনে হয়। চারপাশে যা কিছু দৃশ্যমান, সেগুলো ঠিক সেরকমই নয়, এর ভেতরেও রয়েছে অন্তর্নিহিত আরো গভীর কোনো সত্য (যেমন, আপাত রুক্ষ খেজুর গাছের ভেতরে আছে সুমিষ্ট রস)- এই বোধ, এই ভাবনাটিকেই আমি বলি বিজ্ঞানচেতনা। হাজার বছর ধরে মানুষ তার পরিচয় রেখে গেছে, আর তার অজস্র প্রমাণ ছড়িয়ে আছে আমাদেরই চারপাশে- কেবল চোখ মেলে একটু দেখে নিতে হয়, এই আর কি!

 তো সেই বাড়িতে শুধু খেজুর গাছই ছিল না। ছিল বিশাল একটা কাঠবাদাম গাছ, বড়সড় একটা কদমগাছ, আতাফল, নারকেল, মেহেদিসহ আরো অনেক গাছ। বর্ষায় কদম গাছটি ছেয়ে যেত ফুলে ফুলে। আর কাঠবাদামের পাতার রূপ তো অবর্ণনীয়। বসন্তের শেষে নতুন পাতা আসতো গাছে, মিষ্টি সবুজ তার রঙ, তারপর বর্ষায় হয়ে উঠতো গাঢ় সবুজ। হেমন্তে প্রায় কালচে সবুজ আর শীতে ধরতো লাল রঙ। ঝরে পড়ার আগে পুরো গাছের পাতাগুলো হয়ে উঠতো গাঢ় টকটকে লাল। এইভাবে ঋতুপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সে রূপ পাল্টাতো। তো, ওই বাড়ি থেকে আমাদের জন্য আসতো খাঁটি গরুর দুধ, শীতের দিনে হাড়িভরতি খেজুর-রস আর বর্ষায় কদমফুল। আমরা প্রতিবেশী যে, তাই!

এবার দক্ষিণের বাড়িটার কথা বলি। এটারও অনেকখানি জায়গা জুড়ে ছিল উঠোন। এখন আর দেখা যায় না, কিন্তু ঢাকা যখন উঁচু উঁচু অট্টালিকায় ভরে ওঠেনি, বাড়িগুলো ছিল ছিমছাম একতলা-দোতলা বা  বড়জোর চার-পাঁচতলা, তখন প্রায় প্রতিটি বাড়ির সামনেই এক চিলতে উঠোন থাকতো। বড় বাড়ি থাকলে উঠোনও বড় হতো। এবং সেই উঠোনে অতি অবশ্যই কিছু গাছ থাকতো। বাচ্চাদের খেলাধুলা, বড়দের বৈকালিক বা সান্ধ্য আড্ডা হতো সেইসব উঠোনে। এগুলো আমার নিজের চোখেই দেখা। তো, দক্ষিণের বাড়িটি বেশ বড়, উঠোনও অনেক বড়। দালানটা চারতলা এবং তারা নিজেরাই থাকতেন সেখানে, ভাড়া দিতেন না। উঠোনে ছিল বিশাল  একটা রেইনট্রি, বড় বড় তিনটে আমগাছ, ছ'টা নারকেল গাছ আর কিছু কলা গাছ। গাছে ছিল নানা জাতের পাখির আনাগোনা আর ডাকাডাকি। রাস্তার কুকুর-বেড়ালগুলোর অবাধ যাতায়াত ছিল এই বাড়িতে। আরো অবাক ব্যাপার, এই বাড়িতে বাস করতো বেশ কিছু বেজি। হ্যাঁ, ঢাকার ব্যস্ততম এলাকার একটা বাড়িতে এইসব ছিল। বিকেলে মহল্লার বাচ্চারা এসে হৈহল্লা করে খেলতো, কেউ কিছু বলতো না তাদের। যেন এটা সবার বাড়ি, যার যেমন প্রয়োজন তেমন করেই ব্যবহার করছেন এবং মালিকপক্ষ তা করতেও দিচ্ছেন। পুরনো দিনের ঢাকার চরিত্র এরকমই ছিল। মহল্লার বাসিন্দাদের ভেতরে একটা প্রীতিকর সামাজিক সম্পর্ক ছিল, উষ্ণতা ছিল, পরস্পরের জন্য মমত্ববোধ ছিল। ঝগড়াঝাঁটি কি হতো না? হ্যাঁ, তাও হতো।

কিন্তু তা শত্রুতায় পরিণত হতো না। মনোমালিন্য হলে মুরব্বীরা বসে মিটমাট করে দিতেন। লোকজন বয়োজ্যেষ্ঠদের মুরব্বীজ্ঞানে সম্মানও করতো। তাছাড়া, বড়দের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি কিংবা ঝগড়াঝাঁটি যাই হোক না কেন ছোটদের ওপর তার কোনো প্রভাবই পড়তো না। বিকেল হলেই আমরা বাসা থেকে বেরিয়ে পড়তাম, গলির মুখ আটকে খেলাধুলায় মেতে উঠতাম। তখন মহল্লার সব বাসার সদর দরজা থাকতো খোলা। আমরা লুকোচুরি খেলতে খেলতে কখন যে কোন বাসায় ঢুকে পড়তাম আর কোথায় গিয়ে যে লুকাতাম তার ঠিকঠিকানা ছিল না। পাড়াতো খালা ফুপু চাচি মামি বা চাচা মামা খালু ফুপারা বকা তো দিতেনই না, উল্টো লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করতেন। গল্পের মতো মনে হলেও আমাদের বেড়ে ওঠাটা এরকই ছিল। যে বাড়ির গল্প করছি সেই বাড়িটি, এই যুগে এসেও এরকমই ছিল। তাদের দরজা সদাসর্বদা খোলাই থাকতো, সবার জন্যই। এমনকি রাস্তার বিড়ালগুলোর জন্যও। ওরাও যখন-তখন ঢুকে পড়তো ঘরের ভেতরে। ও বাড়ির ভালো মানুষগুলো ওদেরকে খেতে দিতেন, আদর করতেন, ঘরের ভেতরে খেলতে দিতেন। 

এটা অবশ্য কেবল এই বাড়িরই চরিত্র নয়। এই মহল্লার, অর্থাৎ বাগানবাড়ি আবাসিক এলাকার চরিত্রই এটি। এখানকার স্থায়ী বাসিন্দান্দের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বাগানবাড়ি কল্যাণ সমিতির কর্মকাণ্ডও খুবই চমৎকার। যে-কেউ এখানে গেলেই কয়েকটি ব্যাপার তার চোখে পড়বেই। যেমন, গেটেই বিভিন্ন নোটিশ টানানো আছে। তার মধ্যে একটি হলো, শিশুদের খেলাধূলার সুবিধার্থে বিকেলবেলা গাড়ি বা এই ধরনের যানবাহন নিয়ে ভেতরে না ঢোকার অনুরোধ। অর্থাৎ, শিশুরা যেন নির্বিঘ্নে খেলাধূলা করতে পারে, সেই ব্যবস্থা বড়রাই করেছেন। আর তাই বিকেলবেলা মহল্লাটি ভরে থাকে দেবদূতদের কলকাকলীতে। আবার ধরুন, ধূমপানমুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা থাকায় কেউই মহল্লার ভেতরে প্রকাশ্যে ধূমপান করে না। পুরো মহল্লাটি পরিচ্ছন্ন, কোথাও কোনো নোংরা-আবর্জনা নেই। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাও তৎপর। একইসঙ্গে এটা ঢাকার সবচেয়ে নিরাপদ এলাকা। এই মহল্লার ভেতরে কোনোদিন চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই-রাহাজানি-মারামারি হয় না, খুন-ধর্ষণ তো দূরের কথা। এলাকার তরুণ-যুবকেরা মহল্লার ভেতরে দাঁড়িয়ে কোথাও আড্ডা দেয় না, চলে যায় বাইরে। মেয়েরা এখানে খুবই নিরাপদ। কেউ কখনো টিজ করে না, সিটি বাজায় না তাদের দেখে। এমনকি ডিনারের পর, গভীর রাতে, মহল্লার ভেতরে নারীরা হাঁটতে বেরোন, এ নিয়ে কেউ প্রশ্নই তোলে না।    

এসব দেখে দেখে মনে হতো, এটাই হতে পারতো ঢাকার আদর্শ চেহারা। গাছপালার ছায়ায় ঢাকা মায়াঘেরা বাড়ি, সেখানে মানুষ এবং পশুপাখির অবাধ প্রবেশাধিকার, বিশ্বাস আর আস্থার সম্পর্ক, প্রীতিকর সামাজিক আয়োজন- এসবই তো ছিল একসময়, থাকতেও পারতো। সেটিই হতে পারতো আনন্দের জীবন, স্বস্তির জীবন।  

বাগানবাড়িতে আমি সেই স্বস্তির দেখা পেয়েছিলাম। নাগরিক জীবনের বিবিধ যন্ত্রণা পেরিয়ে যখন বাসায় ফিরতাম তখন আমাকে স্বাগত জানাতো ওই গাছগুলো, পাখিগুলো, বেড়ালগুলো। এবং চোখে পড়তো মানুষের হাসিমুখ, সারা শহর খুঁজেও যা সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না। তাহলে কেন ছেড়ে এলাম সেই স্বর্গোদ্যান? কারণটা অবৈষয়িক কিন্তু আমার জন্য দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। হঠাৎ একদিন দেখলাম, পাশের বাড়ির লোকজন মালপত্র নিয়ে চলে গেলেন বাড়ি ছেড়ে। আর তারপর দিনই এলো উন্নয়নের লোকজন। শহরজুড়ে এদেরই দাপট অনেকগুলো বছর ধরে। নিজেদেরকে তারা দাবি করে ডেভেলপার বলে। পুরনো বাড়ি ভেঙে বহুতল ভবন বানায় তারা। পুরনো রূপ ছেড়ে বাড়িগুলো সাজে নতুন সাজে, অনেকগুলো অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি হয় একেকটা ভবনে। সেখানে উঠোন থাকে না, গাছ থাকে না, পাখি বা পতঙ্গেরও জায়গা হয় না। এই বাড়িগুলোরও একই অবস্থা হবে তা বোঝা যাচ্ছিল বেশ। কারণ বিপুল বেগে চলছিল ভাঙচুর, গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছিল নির্দয়ভাবে। বাসস্থান হারিয়ে পাখিগুলোও পালিয়ে গিয়েছিল, বেজি এবং বেড়ালগুলোও বাড়ি ছেড়ে চলে গেল কোথায় যেন। বাস্তুসংস্থান হারিয়ে এই শহরের বিবিধ বৃক্ষ ও প্রাণীগুলো কীভাবে বিলীন হয়ে গেল তারই একটা ছবি যেন দেখা হয়ে উঠলো আমার। 

তাহলে আর কেন? ওদের জন্যই তো ছিলাম ওই মহল্লায়, ওরা চলে গেল, আমারও আর মন টিকলো না ওখানে। বিষণ্ণ মনে, অশ্রুজল চোখে ওই বাসা ছেড়ে চলে এলাম।   

Comments

The Daily Star  | English

4 years could be maximum one can go before election: Yunus tells Al Jazeera

Says govt's intention is to hold election as early as possible

44m ago