নিয়মের সুবিধা নিয়েছে শ্রীলঙ্কা?
আগের দিন হেলমেটে বাউন্সার লাগার পরও ব্যাট করেছেন বিশ্ব ফার্নান্দো। চা-বিরতির পর যান আহত অবসরে। পরে আবার ব্যাট করতে ফিরেছিলেন। ব্যাটিং ইনিংসের পর শুরু থেকেই বল করতে দেখা গেছে। এমনকি তৃতীয় দিন সকালেও বল করেছেন। কিন্তু সতর্কতার অংশ হিসেবে এই বোলারকে নিয়ম অনুযায়ী বদলি করতে পেরেছে শ্রীলঙ্কা। প্রশ্ন উঠেছে খরুচে বল করায় বিশ্বকে সরিয়ে কাসুন রাজিতাকে নামানো সফরকারীদের ট্যাকটিকাল মুভ কিনা?
বিশ্বের বদলি নেমে নিজের প্রথম ওভারেই নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট পান রাজিতা। পরে বোল্ড করে দেন মুমিনুল হককেও। বাকিদের ব্যর্থতায় ১৭ রানে ২ উইকেট নিয়ে তিনিই লঙ্কানদের সেরা বোলার।
অথচ ম্যাচে ৮ ওভার বল করে ওভারপ্রতি ৫.২৫ করে ৪২ রান দিয়েছিলেন বিশ্ব। অনেক আলগা বল দিয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। তার বল থেকে বাউন্ডারি বের করতে তেমন কোন সমস্যাই হয়নি তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয়ের।
অনেকটা মুভমেন্ট নির্ভর মিডিয়াম পেসার বিশ্ব। কিন্তু ফ্লাট উইকেটে তার বোলিং হচ্ছিল না কার্যকর। সেদিক থেকে গতি বেশি থাকায় রাজিতার সম্ভাবনা ছিল ভাল করার।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে শ্রীলঙ্কার কোচ ক্রিস সিলভারউডের কাছে প্রশ্ন গিয়েছিল, কনকাশন বদলি নিয়মের কোন সুবিধা তারা নিয়েছেন কিনা। উত্তরে লঙ্কান কোচ জানান মঙ্গলবার দিনের খেলা চলার সময়ে সময়ে বিশ্বের উপসর্গ বেড়ে যাওয়ায় তাকে খেলার বাইরে নিতে হয়েছে, 'আপনি এটা একেবারেই ভুলভাবে দেখছেন। খেলোয়াড়দের কল্যাণ এখানে সর্বোচ্চ প্রাধান্যের বিষয়। ব্যাপারটা হলো সে কাল মাথায় আঘাত পেয়েছে। এই দিনের শুরু থেকে তার বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। কাজেই প্রথমত আমরা নিশ্চিত করতে চেয়েছি সে যেন ঠিক থাকে। এই কারণেই সে খেলা ছেড়ে গেছে।'
'এখন তার বদলি হিসেবে এসে কাসুন ভাল বল করেছে। কিন্তু আমরা এই পরিস্থিতির কোন সুবিধা নেইনি। যেটা হয়েছে আমরা আমাদের খেলোয়াড়ের সুস্থতার কথা ভেবেছি।'
মঙ্গলবার লাঞ্চ বিরতির ১৫ মিনিট আগে ধারাভাষ্যকার এইচডি আকারম্যান জানান, ঝিমুনি অনুভব করায় ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন বিশ্ব। কনকাশন বদলি হিসেবে নেওয়া হয়েছে রাজিতাকে। খানিকপর অফিসিয়াল স্কোরাররাও জানিয়ে দেন এই খবর। পরে জানা যায়, স্থানীয় একটি হাসপাতালে স্ক্যান করতে পাঠানো হয়েছে এই পেসারকে। সিলভারউড জানান, বিশ্ব আছেন লঙ্কান মেডিকেল টিমের পর্যবেক্ষণে।
সোমবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে শরিফুল ইসলামের বাউন্সার 'ডাক' করতে গিয়ে হেলমেটে লাগান বিশ্ব। তাকে তাৎক্ষণিক প্রোটোকোল অনুযায়ী পর্যবেক্ষণ করা হয়। নবম উইকেট জুটিতে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের সঙ্গে ১৪৭ বলে ৪৭ রানের জুটিতে ছিলেন তিনি। চা-বিরতির পর অবসরে যান। অসিতা ফার্নান্দো আউট হয়ে গেলে আবার ফিরেন। তিনি ৭ বল খেলার পর ম্যাথিউস আউট হলে থেমে যায় লঙ্কানরা।
এরপর শুরু থেকে বল হাতে নেন বিশ্ব। করেন ৪ ওভার। তৃতীয় দিন সকালের দিকেও আরও ৪ ওভার বল করতে দেখা যায় তাকে। তবে একবার মাথায় আঘাত পেলে ম্যাচের যেকোনো সময় অসুস্থ অনুভব করতে পারেন কেউ। সেরকম হলে যেকোনো সময়ই নেওয়া যাবে কনকাশন বদলি।
Comments