দুই কোচ আর বিশেষ ক্যাম্পের কৃতিত্ব দিলেন নাঈম
২০২১ সালের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজটায় নাঈম হাসান ছিলেন মলিন। চোট নিয়ে খেলা সে সিরিজের বাজে পারফরম্যান্স তাকে ছিটকে দেয় বাংলাদেশ দল থেকে। এক বছরের বেশি সময় বাংলাদেশ ৯ টেস্ট খেললেও তাতে জায়গা হয়নি তার। এবারও স্কোয়াডে ছিলেন না। মেহেদী হাসান মিরাজের চোটে সুযোগ পেয়ে লিখেছেন প্রত্যাবর্তনের গল্প।
চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১০৬ রানে ৬ উইকেট নিয়ে করেছেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। তবে ফেরার এই সময়টা ছিল না সহজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে জোরের উপর বল করে ভুগেছেন। উইকেট আসেনি, উল্টো প্রচুর রান বিলিয়ে করেছেন হতাশ।
এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাকে অনেক বেশি ফ্লাইটেড ডেলিভারি করতে দেখা গেছে। ফ্লাট উইকেটেও টার্ন আদায় করেছেন। ব্যাটসম্যানদের আক্রমণ করে আদায় করেছেন উইকেট।
দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে নাঈম জানালেন, মাঝের এই সময়টায় তাকে সহায়তা করেছেন জাতীয় দলের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ, বাংলাদেশ টাইগার্সের স্পিন কোচ সোহেল ইসলাম ও বগুড়ায় হওয়া টাইগার্সের ক্যাম্প, 'আসলে হেরাথ তো লাইন-লেন্থের ব্যাপারে বলেছিল, কীভাবে উন্নতি করা যায়। আমরা তো বাংলাদেশ টাইগার্স ক্যাম্পে ছিলাম। তখন সোহেল স্যার (সোহেল ইসলাম) ছিল, উনার সঙ্গে কাজ করেছি, কী কী উন্নতি দরকার উনি বলছিল, উনার সঙ্গে কাজ করে ওটা উন্নতির চেষ্টা করেছি। এখানে আসার পর একই কথা। ম্যাচ নিয়ে কথা বলেছিল, কী করতে হবে কোন পরিস্থিতিতে।'
মূল স্কোয়াডে জায়গা না পেলেও নাঈম ছিলেন জাতীয় দলের আশেপাশেই। লম্বা সময় টেস্ট না খেললেও ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলো হাতছাড়া করেননি। এবারের ফেরায় সেদিক থেকে সুবিধা দেখছেন এই অফ স্পিনার, 'আসলে আমি যখন দলের সঙ্গে ছিলাম না শেষ দুই সিরিজে, তখন আমি বিসিএল খেলছিলাম, এরপর বিপিএল শুরু হলো। তারপর বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্পে চলে গিয়েছিলাম। সবমিলিয়ে গ্যাপটা হয়নি।'
প্রথম দিন শুরুর সেশনে ২ উইকেট নেন নাঈম। পরের দুই সেশনে আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। তার বল থেকে বের হয় বেশ কিছু রান। দ্বিতীয় দিনে আবার ব্যাটারদের বেধে রাখার কাজ করেন। এদিন সাফল্য ধরা দেয় চারবার, 'আসলে এই উইকেটে চিন্তা ছিল ভালো জায়গায় বল করা। আপনার বেশি ফ্লাইট দিলেও তো সমস্যা। আমি চেষ্টা করেছি ফ্লাইট দেওয়ার। গতকালকে একটু ফ্লাইট দিয়েছিলাম। আজকের লক্ষ্য ছিল ভালো জায়গায় জোরের ওপর বল করা।'
Comments