গম রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞায় দেশে প্রভাব পড়বে না: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, 'ভারত সরকারিভাবে গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি, তবে বেসরকারিভাবে রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তারা রপ্তানি বন্ধ করলেও বাংলাদেশে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না।'

খাদ্যমন্ত্রী আজ রোববার দুপুরে সিলেটে এই কথা বলেন।

সিলেট সদর খাদ্যগুদাম পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, 'গম আমাদের দেশে হয় না, বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। গম আমদানি করা হতো ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে। এ দুই দেশের যুদ্ধের সময়ে আমরা সম্প্রতি ভারত থেকে তিন লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করেছি। বন্ধ করলেও তা এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিন পরে উঠিয়ে নেবে কারণ তাদের গম বিক্রি করতে হবে। তাই পরবর্তীতে যা দরকার তাও ভারত থেকে আমদানি করা হবে।'

দেশে কোনোভাবেই খাদ্য সংকট দেখা দেবে না দাবি করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'সম্প্রতি সুনামগঞ্জে বোরো ফসলের কিছু ক্ষয়ক্ষতি হলেও চাষাবাদ হয়েছে অনেক বেশি। এ থেকে আমাদের ধান-চালের শক্তিশালী মজুদ গড়ে উঠবে। গত আউশ ও আমন ধানেরও প্রচুর মজুদ রয়েছে এবং বৃষ্টির কারণে আগামী আউশ ফসলও ভালো হবার সম্ভাবনা বেশি।'

মন্ত্রী বলেন, 'গত এক বছর আমরা বিদেশ থেকে চাল আমদানি করিনি। আমাদের কৃষকদের উৎপাদিত ধান দিয়েই চালের চাহিদা মিটছে।'

সরকার নির্ধারিত মূল্যে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'সরকার ভর্তুকি দিয়ে কৃষকদের সাহায্য করে এবং তাদের কাছ থেকে ঘোষণা দিয়ে দাম নির্ধারণ করে ধান কেনে। কৃষকরা যাতে বাজারে অন্যের কাছে ধান বিক্রি করে না ঠকে তাই এমনটি করা হয়। এবার ধানের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে তা আর বাড়ানো হবে না।'

খাদ্যমন্ত্রী জানান, সিলেটে ধান ও চাল সংরক্ষণের জন্য সরকার ২৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার সাইলো নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।

সরকার পেঁয়াজ আমদানির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে পেঁয়াজের দাম বাড়বে না বলেও দাবি করেন খাদ্যমন্ত্রী।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

13h ago