আচমকা ব্যাটিং ধস ঠেকানোর উপায় কি?
এক উইকেট পড়লে সেটা যেন টেনে আনে আরেক উইকেটের পতন। শুধু এতেই থামাথামি নয়, তাসের ঘরের মতো হুড়মুড় করে ধসে পড়ে পুরো ইনিংসই। দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই টেস্টেই দেখা গেছে এমন চিত্র। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ দল এই ধস ঠেকানোরই পথ খুঁজছে।
চট্টগ্রামে এসে অনুশীলনে ব্যাটারদের টেকনিক্যাল দিক নিয়ে পরামর্শের বাইরে মানসিক ব্যাপার নিয়ে অনেক কথা বলেছেন রাসেল ডমিঙ্গো। বাংলাদেশের প্রধান কোচ, বিপদের আভাস দেখলে খেলোয়াড়দের মধ্যে আনতে চাইছেন পরিস্থিতি সামলানোর দক্ষতা।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ডারবানে প্রথম টেস্টে রান তাড়ায় চতুর্থ দিন বিকেলে নামে বাংলাদেশ। শেষ বিকেলে ৫ রানেই হারায় ৩ উইকেট। পরদিন সকালে ১৩ ওভারের মধ্যেই খেল খতম। আসা-যাওয়ার মিছিলে টপাটপ পড়ে যায় বাকি ৭ উইকেট।
পোর্ট এলিজাবেথে দ্বিতীয় টেস্টেও একই কাহিনী। চতুর্থ দিন সকালে নেমে ১৪.২ ওভারের মধ্যেই পড়ে যায় শেষ ৭ উইকেট। ৫৩ আর ৮০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হন মুমিনুলরা।
শুক্রবারের অনুশীলনের আগে কোচ ডমিঙ্গো জানালেন এই নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা চালাচালি করছেন তারা, খুঁজছেন উত্তরণের পথ, 'অবশ্যই এটা একটা চিন্তার জায়গা (ব্যাটিং ধস)। যখন একটা বাজে সেশন যায়, সেটা খুবই বাজে পরিস্থিতি তৈরি করে। আমরা দেখা যায় এক সেশনেই ৬-৭ উইকেট খুইয়ে বসেছি। এটা নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা হয়েছে, সমাধানের একটা পথ খুঁজছি। ড্রেসিং রুমে শান্ত থাকার চেষ্টা করছি। বাজে কিছু হলে যেন সবাই সেটা সামলাতে পারে। আমাদের মধ্যে এই নিয়ে আলাপ হচ্ছে।'
'খেলায় এরকম হয় (টানা উইকেট পতন)। তবে আমাদের নিশ্চিত করা লাগবে এক দুই উইকেট পড়লে যেন পাঁচ উইকেট না পড়ে। যখনই ধসের আভাস দেখব, সেটা যেন থামাতে পারি।'
ধস নিয়ে চিন্তা থাকলেও কোচ অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার তেতো স্মৃতি ভুলে যেতে চান। তার মতে ৫৩ আর ৮০ রানের যন্ত্রণা তাড়া করবে না সাগরিকার মাঠে।
Comments