ইবাদত-খালেদের ‘ইঞ্জিন ক্যাপাসিটিতে’ অবাক ডোনাল্ড
শরিফুল ইসলামকে আগে থেকেই চিনতেন অ্যালান ডোনাল্ড। বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেওয়ার আগেই এই তরুণ পেসারকে নিয়ে উচ্ছ্বসা জানিয়েছিলেন তিনি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ চমকে গেছেন ইবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদের সামর্থ্য দেখে। সাহস আর নিবেদনে টানা বল করার মানসিকতায় কোচের মন কেড়েছেন তারা।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেই বাংলাদেশ দলে যুক্ত হন সাবেক প্রোটিয়া পেসার। ইবাদত-খালেদদের সেখানেই দেখা তার প্রথম।
ডারবানে প্রথম টেস্টে ইবাদত বল করেন ৪২ ওভার। খালেদ ৩৮ ওভার। পোর্ট এলিজাবেথে খালেদ করেন ৩৩ ওভার, ইবাদত ৩৩ ওভার। ডারবানে তিন পেসার নিয়ে খেললেও পোর্ট এলিজাবেথে দুই স্পিনারের সঙ্গে বাংলাদেশ খেলায় দুই পেসার।
প্রথম টেস্টে তাসকিন আহমেদ চোটে পড়ায় সেই টেস্টেও বাড়তি দায়িত্ব নিতে হয় ইবাদত-খালেদকে। দুই টেস্টেই লম্বা স্পেলে বল করে তাদের সামলাতে হয় পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পেসারদের সঙ্গে লম্বা সেশনের পর গণমাধ্যমে এই ইবাদত-খালেদকে প্রশংসায় ভাসান ডোনাল্ড, 'আমার মনে হয় সবচেয়ে বড় চমক ছিল ইবাদত ও খালেদ। তাদের ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি দেখে আমি চমকে গেছি। পেস বোলিং করতে বিশাল সাহস আর নিবেদন লাগে। একটা টেস্ট ম্যাচে দুই পেসার আর দুই স্পিনার আমি আগে দেখিনি। কিন্তু যেভাবে তারা সব সামলেছে, বিশেষ করে ডারবানে তা ছিল দুর্দান্ত। দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই টেস্টেই পেসারদের চেষ্টাটা দারুণ ছিল। এটা দেখে আমি আনন্দিত। প্রতিটি অনুশীলন সেশনে আমাদের যে আলোচনা হয়েছে এবং তা থেকে আমরা যা শিখছি তা যথেষ্ট। যে পথে এগুচ্ছি তাতে আমি খুশি।'
Comments