সেই চট্টগ্রামেই ক্যারিয়ার জাগানোর সুযোগ মোসাদ্দেকের
প্রথম শ্রেণীতে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের গড় পঞ্চাশের উপর। এই সংস্করণে অন্তত তিন হাজার রান করেছেন এমন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তার গড়ই সবচেয়ে বেশি। যে তিন টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন তাতেও পারফরম্যান্স জুতসই। তবু মোসাদ্দেক একাদশে দূরে থাক নিয়মিত স্কোয়াডেই জায়গা পান না। এবার সাকিব আল হাসান শেষ সময়ে ছিটকে যাওয়ায় মোসাদ্দেক হতে পারেন আপাত সমাধান।
২০১৯ সালে চট্টগ্রামেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। সেই টেস্টে দলের ভরাডুবির মাঝেও তার পারফরম্যান্স খুব খারাপ ছিল না। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন অপরাজিত ৪৮, পরের ইনিংসে ১২। দুই ইনিংস মিলিয়ে দলের সবচেয়ে বেশি রানই করেছিলেন তিনি।
এরপর বাংলাদেশ আরও ১৫ টেস্ট খেললেও কোথাও সুযোগ মেলেনি মোসাদ্দেকের। ৩ টেস্ট ৬ ইনিংসে ৪১ গড়ে ১৬৪ রানেই থেমে ছিল তার ক্যারিয়ার।
থমকে যাওয়া ক্যারিয়ারের ফের জাগরণের সুযোগ এসে গেছে। সব কিছু ঠিক থাকলে চট্টগ্রামে আরেকটি টেস্ট খেলতে যাচ্ছেন তিনি।
অথচ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজের দলেও শুরুতে তাকে নেওয়া হয়নি। মেহেদী হাসান মিরাজ চোটে ছিটকে গেলে ডাক পান নাঈম হাসান। এরপর বাড়তি হিসেবে দলে যোগ করা হয় তাকে।
গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে লিস্ট-এ সংস্করণে ছিলেন দারুণ ছন্দে। প্রথম শ্রেণীতে ৫৫.৯৮ গড় বলে জানান দেয় তার লাল বলের সামর্থ্য। সঙ্গে যোগ হওয়া জুতসই অফ স্পিন মিলিয়ে মোসাদ্দেক ঘটনাচক্রে হতে যাচ্ছেন সাকিবের সাময়িক বিকল্প।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট খেলতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসে কোভিড আক্রান্ত হন সাকিব। অন্তত প্রথম টেস্ট খেলা হচ্ছে না তার। সাকিব শেষ সময়ে এভাবে ছিটকে যাওয়ায় এলোমেলো হয়ে গেছে দলের পরিকল্পনা। সাকিবের অনুপস্থিতিতে অলরাউন্ডারের ঘাটতি যিনি পূরণ করতেন সেই মিরাজও নেই এবার।
দলের পরিস্থিতি, নিজের স্কিলসেট মিলিয়ে মোসাদ্দেকের চট্টগ্রাম টেস্টের একাদশে থাকার সম্ভাবনা প্রবল। সাত বা আট নম্বরে একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডারের বিকল্প দেখছে না বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সময়ও প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছিলেন, পাঁচ বোলার খেলানো আদর্শ হলেও সাকিব না থাকলে সেই কাজটা করা হয় কঠিন। সাত নম্বর পর্যন্ত একজন ব্যাটসম্যান রেখে দিতে চান তারা।
মোসাদ্দেক স্কোয়াডে থাকায় সাকিব না থাকার পরও বাড়তি একজন বোলার নিয়ে খেলার সুযোগ তৈরি হতে পারে। মোসাদ্দেক সাতে খেললে নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম ও দুই পেসার নিয়ে পাঁচ বোলার হয়ে যায় বাংলাদেশের। তবে ইয়াসির আলিকে একাদশে রাখলে মিরাজের জায়গা নিয়ে চারটি বোলিং অপশনের একটি হতে পারেন মোসাদ্দেকও। সেই সঙ্গে আট নম্বরে তার ব্যাটিং দলকে দিতে পারে বাড়তি ভরসা।
Comments