বাবা দেশ ছেড়ে যাবেন না: মাহিন্দা রাজাপাকসের ছেলে

মাহিন্দা রাজাপাকসে। রয়টার্স ফাইল ফটো

রাজাপাকসে পরিবারের দেশ ছেড়ে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের ছেলে নামাল রাজাপাকসে।

আজ মঙ্গলবার এএফপিকে এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, 'গুজব ছড়িয়েছে যে আমরা দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছি। আমরা দেশ ছাড়ব না।'

রাজাপাকসে পরিবারের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে চলা বিক্ষোভকে "দুঃসময়" হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমার বাবা পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করবেন না। তিনি তার উত্তরসূরি নির্বাচনের জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে চান।'

তিনি আরও বলেন, 'আমার বাবা নিরাপদে আছেন এবং তিনি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন।'

'আমার পরিবার বিশ্বাস করে যে শ্রীলঙ্কানদের প্রতিবাদ করার অধিকার আছে। আমরা সবসময় আমাদের জনগণের পাশে থাকবো,' বলেন তিনি।

নামাল রাজাপাকসে গত মাসে মন্ত্রিসভা পরিবর্তনের আগ পর্যন্ত দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। নিজেকে একসময় দেশটির ভবিষ্যত জাতীয় নেতা হিসেবে দাবিও করেন তিনি।

অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে গত মার্চ থেকে রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে জোরালো বিক্ষোভ শুরু হয়।

শ্রীলঙ্কায় গত ২০ বছরের বেশিরভাগ সময়ই প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই আধিপত্য বিস্তার করেছে রাজাপাকসে পরিবার। বিক্ষোভকারীরা এই সংকটময় পরিস্থিতির জন্য রাজাপাকসে পরিবারকেই দায়ী করেছেন।

মাহিন্দা রাজাপাকসের ছোট ভাই গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পূর্ণাঙ্গ কর্তৃত্ব রয়েছে তার।

দেশজুড়ে বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের উপায় হিসেবে তার ভাইকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বলেন।

গতকাল প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পরও দেশটিতে বিক্ষোভ থামেনি।

আজ মঙ্গলবার ভোরে সেনা অভিযানের মাধ্যমে মাহিন্দা রাজাপাকসেকে তার বাসভবন থেকে উদ্ধার করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

4h ago