সম্পদ গোপনের দায়ে টেনিস কিংবদন্তি বরিস বেকারের কারাদণ্ড
২০১৭ সালে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছিলেন বরিস বেকার। কিন্তু জার্মান এই টেনিস কিংবদন্তি সেসময় সম্পদ গোপন করেছিলেন। তখন তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পুরো তালিকা দেননি তিনি। জালিয়াতির এই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শুক্রবার তাকে কারাদণ্ড দিয়েছে লন্ডনের একটি আদালত।
ছয়টি গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ী বেকারকে চলতি মাসের শুরুতে ব্রিটেনের দেউলিয়া আইনের অধীনে চারটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। তাকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২৫ লাখ পাউন্ড সমমূল্যের সম্পদ গোপন করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি ৩০ লাখ পাউন্ডের বেশি ঋণ পরিশোধ করতেও ব্যর্থ হয়েছিলেন ৫৪ বছর বয়সী সাবেক এই খেলোয়াড়।
২০১৭ সালে দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার পর বেকার তার সমস্ত অর্থ গোপনে স্থানান্তর করে দিয়েছিলেন। সেগুলো জমা ছিল তার সাবেক স্ত্রী বারবারা ফেলটাস ও শার্লি ক্রেসেনবার্গের কাছে। দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসার নয় বছর পর ২০১৮ সাল থেকে আলাদা থাকছেন বেকার ও ক্রেসেনবার্গ।
লন্ডনের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্টের বিচারক ডেবোরাহ টেইলর কারাদণ্ড দেওয়ার সময় বেকারকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, 'এটা উল্লেখ করার মতো যে আপনি আপনার অপরাধের জন্য অনুশোচনা দেখাননি বা স্বীকারোক্তিও দেননি। আপনার মধ্যে কোনো নম্রতা নেই।'
টেইলর আরও জানিয়েছেন, বেকার তার সাজার অর্ধেক সময় কারাগারে কাটাবেন। বাকিটা সময় কারাগারের বাইরে থাকলেও তাকে নজরদারিতে রাখা হবে। আদালতে বেকারের সঙ্গী ছিলেন তার বান্ধবী লিলিয়ান দি কারভালহো ও ছেলে নোয়াহ গ্যাব্রিয়েল।
টেনিস ইতিহাসের জনপ্রিয় তারকাদের মধ্যে বেকার অন্যতম। বিশ্বের সাবেক এই এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড় সব মিলিয়ে ৪৯টি শিরোপা জিতেছেন। ১৫ বছরের দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ৭৭ বার ফাইনালে খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু জালিয়াতি করে নিজের সুনামকে একেবারে ধুলোয়ই মিশিয়ে ফেলেছেন বেকার!
Comments