মোটরসাইকেলের চাপে ফেরিতে জায়গা পাচ্ছে না যাত্রীবাহী গাড়ি
ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া, মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও শরিয়তপুরের মাঝিকান্দি নৌপথে চলাচলকারী ১০টি ফেরিতে পা রাখার জায়গা নেই। ফেরিগুলো মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার নিয়ে চলাচল করছে। তবে মোটরসাইকেলের চাপের কারণে ফেরি লোড-আনলোড সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় শিমুলিয়া ঘাটে পারের অপেক্ষায় ছিল প্রায় ৩ শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি। ৩টি ফেরিঘাটের কাছে অপেক্ষা করছে এসব যানবাহন।
এ ছাড়া পারাপারের অপেক্ষায় আছে অংখ্য মোটরসাইকেল আরোহী। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) ফয়সাল আহম্মেদ আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ঘাটের অবস্থা খুব খারাপ। যাত্রী ও যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ। ঘাটে গাড়ি পার্কিংয়ের মাঠ পুরোটা গাড়িতে ভরে গেছে। সংযোগ সড়কেও একই অবস্থা। সড়কে গাড়ির সারি। সব মিলিয়ে হাজার খানেক গাড়ি এ পথে পদ্মা পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। ৩-৪ হাজার মোটরসাইকেল অপেক্ষায় রয়েছে। সকাল থেকে শুধু মোটরসাইকেল পার করা হচ্ছে। ঘাটে ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের ১০টি ফেরি আছে।
বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্যিক) এস এম আশিকুজ্জামান জানান, ঢাকার খুব কাছে শিমুলিয়া ঘাট। যে কারণে সেহেরির পর থেকে মানুষ ঘাটে আসতে শুরু করে। তবে যানবাহনের যে চাপ আছে এটি বিকেলের মধ্যে সামাল দেওয়া সম্ভব হবে। এ নৌপথে শুধু হালকা গাড়ি পার হয়। চলাচলকারী ১০টি ফেরি দিয়েই চাপ সামাল দেওয়া সম্ভব। ঘাটে অপেক্ষমাণ যানবাহনকে শৃঙ্খলায় আনতে প্রশাসন চেষ্টা করছে।
এদিকে, ৮৫টি লঞ্চ ও ১৫৩টি স্পিডবোটের মাধ্যমে পদ্মা পার হচ্ছে মানুষ। লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটে যাত্রীদের ভিড় আছে।
Comments