টুইটার নিয়ে ইলন মাস্কের পরিকল্পনা কী?

ইলন মাস্ক। রয়টার্স ফাইল ফটো।

টুইটার কেনার আগেই ইলন মাস্ক বলেছেন, এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির যে অসাধারণ সম্ভাবনা আছে, তিনি তার পূর্ণ রূপ দেখতে চান।

সে কারণেই কি তিনি টুইটারের মালিক হতে এতটা আগ্রহী ছিলেন?

জানুয়ারিতে টুইটারের ৯ দশমিক ২ শতাংশ শেয়ার কেনার পরেও তিনি টুইটারের বোর্ডে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানান। বিবিসির প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জো ক্লেইনম্যান বলছেন, সম্ভবত এর কারণ হতে পারে মাস্ক ধরাবাধা দায়িত্ব চাননি।

তবে টুইটার নিয়ে মাস্কের পরিকল্পনা কী?

আমরা সবাই জানি, মাস্ক সীমানা অতিক্রম ও নিয়ম ভাঙতে পছন্দ করেন। যখন বিভিন্ন দেশের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে এর কনটেন্টের জন্য দায়ভার নিতে বলছে; বিশেষ করে ভুয়া খবর ছড়ানো বন্ধ, সহিংসতা ছড়ানো ও ঘৃণ্য বক্তব্যের পোস্ট ঠেকানোর মতো বিষয়ে এসব মাধ্যমকে কঠোর হতে বলছে, ঠিক সেসময়ে মাস্ক ঘোষণা করেছেন, টুইটারের আরও উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ হওয়া উচিত। এটি বাকস্বাধীনতার জায়গা হওয়া উচিত।

ইলন মাস্কের মালিকানাধীন টুইটার যেসমস্ত কন্টেন্ট সহিংসতাকে উসকে দেয় কিংবা নিপীড়ন বা বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য আছে এমন কন্টেন্টের ক্ষেত্রে কী করতে পারে তা এখনো বলা যাচ্ছে না।

টুইটারের বর্তমান প্রধান ব্যবসায়িক মডেল বিজ্ঞাপনভিত্তিক। তবে মাস্ক এটিকে সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক করার ব্যাপারে আগ্রহ জানিয়েছেন। বিশ্বের প্রধান সামাজিক মাধ্যমগুলো এখন বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। তাই সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক টুইটার কীভাবে কাজ করবে সেই বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়।

আমরা ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রতি মাস্কের ভালবাসা সম্পর্কে জানি। বিবিসিতে প্রকাশিত একটি আর্টিকেলে জো ক্লেইনম্যান প্রশ্ন করেছেন, বিটকয়েনের ভার্চুয়াল ও অরক্ষিত মুদ্রায় লেনদেনকে টুইটারের মাধ্যমে মাস্ক কি সামনে আনতে পারেন?

বিশ্বজুড়ে ইলন মাস্কের হাজারো ভক্ত ও অনুরাগী আছেন, যারা তার কার্যকলাপকে বিনাপ্রশ্নে মেনে নেন।

সবশেষে বলা যেতে পারে, ব্যবহারকারীদের জন্য ইলন মাস্কের মালিকানাধীন টুইটার এখনকার টুইটারের চেয়ে একেবারেই অন্যরকম হবে।

সম্প্রতি একটি টেড টক-এ, মাস্ক টুইটারের অ্যালগরিদমটি ওপেন সোর্স করার জন্য কাজ করার বিষয়েও কথা বলেছেন। এছাড়াও টুইটে এডিট বাটনও যুক্ত করার কথা বলেছেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Discrimination Students Movement

Students to launch a party by next Feb

Student leaders who spearheaded the July-August mass uprising are planning to launch a political party by early February 2025 and contest the next general election.

7h ago