ঢাকা নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি

‘হামলায় তৃতীয় পক্ষ জড়িত, ঈদের পর কর্মচারীদের কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা’

ঢাকা নিউ মার্কেটে ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: মুনতাকিম সাদ

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে হামলার ঘটনায় তৃতীয় পক্ষ জড়িত বলে দাবি করেছেন ঢাকা নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহিন।

আজ বুধবার ঢাকা নিউ মার্কেটে ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান আজই দোকানপাট খুলে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চান। ঈদের পর দোকান কর্মচারীদের খারাপ আচরণের বিষয়ে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। এরপর নিউ মার্কেটে কেনাকাটা করতে এসে কেউ বাজে ব্যবহারের শিকার হলে সমিতিতে অভিযোগ করার অনুরোধ রইল। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, 'গত ১৮ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে ঢাকা নিউ মার্কেটের ২টি ফাস্ট ফুডের দোকানের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ঘটনার এক পর্যায়ে রাত আনুমানিক ১১ টা ৩৫ মিনিটে একটি সংঘবদ্ধ দল ঢাকা নিউ মার্কেটের ৪ নং গেইটসহ অন্যান্য স্থানে ভাঙচুর শুরু করে। এসময় আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য চাই।'

হামলার ঘটনার দুঃখ প্রকাশ করে ঢাকা নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বলেন, 'আমরা জানতে পারি এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা জড়িত। ১৯ এপ্রিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বলা হলে এই এলাকার সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা সত্যেও একদল উশৃঙ্খল জনতার দিনব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে বেসরকারি খাতে কর্মরত একজন কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হন সাংবাদিক ও সংবাদ কর্মীরা। এ জন্য আমরা গভীর ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।'

ঘটনার শান্তিপূর্ণ সমাধান প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, 'আমরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং এলাকার ব্যবসায়ী নেতাদেরসহ আলোচনার মাধ্যমে একটি কোর কমিটি গঠনের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করব। যাতে করে যে কোনো ঘটনা আলোচনার ভিত্তিতে সুষ্ঠু সমাধান করতে পারি। এই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তার নিরপেক্ষ তদন্তের ভিত্তিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।'

নিউ মার্কেট এলাকার দোকান মালিক এবং কর্মচারীদের ছাত্রদের উদ্দেশ্যে কোনো ধরনের উস্কানিমূলক কথা না বলার পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকেও সহনশীল আচরণ করার অনুরোধ করেন তিনি।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাম্বুলেন্সে আক্রমণ কোনোভাবেই কাম্য নয় উল্লেখ করে হেলাল উদ্দিন বলেন, 'সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনাটিও অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। আমি মনে কবি, কোনো ব্যবসায়ী বা ছাত্র এ কাজ করতে পারে না। এ ঘটনায় স্পষ্ট প্রতীয়মান, এখানে তৃতীয় পক্ষ জড়িত। আমরা মনে করি, এখানে ব্যবসায়ীরা ছিল না, ছাত্রও ছিল না। জানি না তারা কারা!'

তিনি বলেন, তারা উশৃঙ্খল জনতা। এখানে তৃতীয় পক্ষ ছিল, নিশ্চিত করে বলছি। তবে এ ঘটনায় যদি কোনো ব্যবসায়ী জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমরা এ ঘটনার শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। এ ঘটনা নিয়ে কেউ যেন উসকানিমূলক কথা, বক্তব্য ও পোষ্ট না দেন এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি তিনি অনুরোধ জানাচ্ছি, তিনি যোগ করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

2h ago