শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ী সংঘর্ষে আহত ডেলিভারিম্যান নাহিদ মারা গেছেন

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটসহ আশপাশের ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ডেলিভারিম্যান নাহিদ হোসেন (১৮) মারা গেছেন।
নিহত নাহিদ হাসান। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটসহ আশপাশের ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ডেলিভারিম্যান নাহিদ হোসেন (১৮) মারা গেছেন।

আজ মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাচ্চু মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, নিহত নাহিদ এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগনাল এলাকায় একটি কুরিয়ার সার্ভিসে চাকরি করতেন। ঢামেকের জরুরি বিভাগে ওয়ানস্টপ ইমার্জেন্সি সাভিসের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।

তিনি জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ ৪ জন ভর্তি ছিলেন। এরমধ্যে একজন মারা গেছেন। প্রথম থেকেই তিনি আশঙ্কাজনক ছিলেন। শুভ নামে একজন দুপুরের দিকে আহত অবস্থায় নাহিদকে  হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

তিনি জানিয়েছিলেন নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের সময় আহত অবস্থায় নাহিদ রাস্তায় পড়েছিলেন।

ওসি জানান, রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ আহত ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তারা হলেন- নিউ সুপার মার্কেটে রেডিমেড কাপড়ের দোকানের কর্মচারী মোরসালিন (২৬), ইয়াসিন (২০) এবং ঢাকা কলেজের দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কানন চৌধুরী (২৩)। তাদের মধ্যে মোরসালিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

নিহত নাহিদের বাবা নাদিম হোসেন বলেন, আজ সকালে কামরাঙ্গীরচর দেওয়ান বাড়ির এলাকার বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হয় নাহিদ। পরে আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার হাসপাতালে ভর্তির কথা জানতে পারি।

এর আগে, সোমবার রাতে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাঁধে। রাত ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত চলে সংঘর্ষ। এরপর আজ মঙ্গলবার সকালে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আবারও সংঘর্ষ  শুরু হয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের, থেমে থেমে চলে সংঘর্ষ। দুপুর ১টার দিকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নেয়। তারা ২ পক্ষকে ২ দিকে সরিয়ে দেয়।

Comments

The Daily Star  | English

Khagrachhari violence: 3 dead, 4 sent to CMCH 'with bullet wounds'

Three indigenous people died of their injuries at a hospital in Khagrachhari yesterday and early today, hours after arson attacks and violence in the district

35m ago