শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ী দুই পক্ষেরই টার্গেট সাংবাদিক

নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের আলোকচিত্রী প্রবীর দাশসহ কমপক্ষে ৭ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

আহত সাংবাদিকরা জানান, নিউমার্কেট এলাকায় মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা এবং উভয় পক্ষই সাংবাদিকদের টার্গেট করে পেটাচ্ছে।

আহত প্রবীর দাশ বলেন, 'সকাল পৌনে ১১টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ চলছে। এলোপাতাড়ি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।'

ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

'সেসময় নিরাপদে দাঁড়ানোর কোনো জায়গা পাচ্ছিলাম না। শিক্ষার্থীদের মারমুখী অবস্থান ছিল। ব্যবসায়ীদের দিকে গিয়ে দেখি তারা আরও ভয়ঙ্কর', বলেন তিনি।

প্রবীর দাশ বলেন, 'শিক্ষার্থীদের অংশের দিকে আসার পর সড়ক বিভাজকের ওপর উঠে সংঘর্ষের ছবি তুলছিলাম। সেসময় একটি অ্যাম্বুলেন্স এলে শিক্ষার্থীরা সেটিকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সটি শেষরক্ষা পায়নি। ব্যবসায়ীদের অংশের দিকে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাম্বুলেন্সটি ভাঙচুর করা হয়।'

ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

'হঠাৎ শিক্ষার্থীদের কয়েকজন আমাকে ধাক্কা দিয়ে সড়ক বিভাজকের ওপর থেকে নিচে ফেলে দেন। শুনতে পাই কেউ একজন চিৎকার করে বলছেন, "তুই সাংবাদিক, ছাত্রদের ছবি তুলিস আর ব্যবসায়ীদের পক্ষে নিউজ করিস''। এই বলে কয়েকজন আমাকে লাঠি-রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকেন। তখন আশপাশ থেকে কয়েকজন সাংবাদিক ছুটে এসে আমাকে উদ্ধার করেন। সেসময় তাদের কয়েকজনকেও পেটান শিক্ষার্থীরা', যোগ করেন তিনি।

ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

প্রবীর দাশ আরও বলেন, 'ঘটনার আকস্মিকতায় প্রথমে ব্যথা টের পাইনি। পরে দেখি ঠিকমতো হাঁটতে পারছি না। রডের আঘাতে ডান পা ফুলে গেছে, কাঁধেও রক্ত জমেছে। পরে অন্যদের সহায়তায় গ্রিনরোডে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি।'

আহত সাংবাদিকদের মধ্যে আরও আছেন, দীপ্ত টিভির সিনিয়র রিপোর্টার আসিফ জামান এবং ক্যামেরা পারসন ইমরান লিপু, আজকের পত্রিকার রিপোর্টার আল আমিন রাজু, এসএ টিভির ক্যামেরা পারসন কবীর হোসেন এবং তাইফুর রহমান তুহিন, ঢাকা পোস্টের সিনিয়র রিপোর্টার জসীম উদ্দিন মাহির।

ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

তারা জানান, ঘটনাস্থলে থাকা সাংবাদিকরা সংঘর্ষের ছবি ও ভিডিও নেওয়ার চেষ্টা করায় তাদের ওপর চড়াও হয়েছেন শিক্ষার্থী এবং ব্যবসায়ী উভয় পক্ষই।

ইতোমধ্যে অন্তত ৪ জন সাংবাদিক চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Titas Gas sinks further in red on system loss

Titas Gas’s system loss hit a decade high of 1,204 million cubic meters in fiscal 2023-24 -- enough to meet a month’s import bill of high-priced liquified natural gas (LNG).

8h ago