‘জেতার আশা ছাড়ছি না, এখনো জেতা সম্ভব’

উইকেটে বল টার্ন করছে বিস্তর, আচমকা নিচুও হয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতি নেমে ২৭৪ রান তাড়ায় চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১১। জিততে হলে শেষ দিনে ৭ উইকেট নিয়ে করতে হবে আরও ২৬৩ রান! তবে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলছেন, তাদের জেতার ভালোই সুযোগ আছে এখনো।

হার-জিতের বাইরে পুরো দিন ব্যাট করে ম্যাচ বাঁচানোরও একটি সম্ভাবনা আছে। কিন্তু খালেদ মাহমুদ সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন। ডারবান টেস্টে একটি ফলই দেখতে পাচ্ছেন তিনি।

২৭৪ রান তাড়ায় নেমে  শেষ বিকেলে সাইমন হার্মার ও কেশব মহারাজের তোপে পড়ে সফরকারীরা। সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয় ও অধিনায়ক মুমিনুল হক ফিরে যান দলের ৮ রানেই। 

রোববার দিনের খেলা শেষে গণমাধ্যমে মাহমুদ জানান, লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ থাকায় তাদের বুকে ইতিবাচক মনোভাবই কাজ করছে তাদের ভেতর,  'জানি কঠিন। কাল জিততে হলে ২৬৩ রান করতে হবে। কিন্তু ড্র করতে হলে পুরো ৯০ ওভার ব্যাট করতে হবে। আমি মনে করি সারাদিন যদি আমরা ব্যাট করে অবশ্যই ম্যাচ জেতার চান্স থাকবে।  প্রথম কথা হচ্ছে কাল সকালে কেমনভাবে শুরু করি। এখনো বেঞ্চে ভালো দুজন খেলোয়াড় আছে। মুশফিক-শান্ত উইকেটে। এরপরে লিটন (দাস) ও ইয়াসির (আলি) আছে। এখনো আমাদের সুযোগ আছে। আমি জানি কন্ডিশন কঠিন, বল টার্ন করছে, নিচু হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করব। এখনো আমরা জেতার আশা ছাড়ছি না।'

কঠিন পথ পাড়ি দিতে প্রেরণা হিসেবে তরুণ ওপেনার জয়কে রাখছেন মাহমুদ। প্রথম ইনিংসে ৭ ঘণ্টা ২২ মিনিট ক্রিজে থেকে তার ১৩৭ রান সবাইকেই বাড়তি কিছু করার তাগিদ দেবে। জয় পারলে অভিজ্ঞ হিসেবে মুশফিকও প্রত্যাশা পূরণ করবেন বলে আশা তার,  'আমার মনে হয় জয়ের প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং পুরো দলের জন্যই অনুপ্রেরণার ব্যাপার। একটা ছেলে নতুন এসে এরকম ব্যাট করেছে। মুশফিক আমাদের সবচেয়ে সিনিয়র, সবচেয়ে অভিজ্ঞ তার থেকে আমাদের প্রত্যাশা অবশ্যই বেশি থাকবে। শান্ত আছে উইকেটে। যেটা বলছিলাম লিটন দাস, রাব্বি আছে। (মেহেদী হাসান) মিরাজেরও একশো আছে টেস্ট ম্যাচে একশো আছে। সুতরাং আমরা আশাবাদী এখনো যদি ধৈর্য নিয়ে ব্যাট করতে পারি, সময় নিয়ে ব্যাট করি তাহলে এই ম্যাচে আমাদের জেতাও সম্ভব। এখান থেকে ড্র করার চান্সটা কম। হয় আমরা জিতব না হয় হারব।'

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Discrimination Students Movement

Students to launch a party by next Feb

Student leaders who spearheaded the July-August mass uprising are planning to launch a political party by early February 2025 and contest the next general election.

8h ago