উইল স্মিথের চড়কে সমর্থন করলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন গত বৃহস্পতিবার সকালে ব্রিসবেন থেকে প্রচারিত 'বি ১০৫ এফএম' রেডিও স্টেশনে কথা বলার সময় বলেন যে, তিনি বুঝতে পেরেছেন কেন উইল স্মিথ অস্কার মঞ্চে তার স্ত্রীর সম্মান রক্ষার্থে ক্রিস রককে চড় মারতে প্ররোচিত হয়েছিলেন।
স্কট মরিসন আরও বলেছেন, 'কেউ যখন আমার স্ত্রী জেনি সম্পর্কে খারাপ কথা বলে তখন আমিও "প্রচণ্ড রক্ষণাত্মক" হই।'
স্ত্রীর সম্মান রক্ষায় হলিউড তারকা স্মিথের এগিয়ে আসাকে সমর্থন করে প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি বুঝতে পারেন কেন কিছু পুরুষ শারীরিক সহিংসতা অবলম্বন করে থাকে। স্ত্রীর প্রতিরক্ষায় এগিয়ে আসা প্রতিটি স্বামীর দায়িত্ব বলেও যোগ করেন তিনি।
কৌতুক অভিনেতা ক্রিস রকের ওপর উইল স্মিথের অস্কারের রাতের হামলাকে প্রধানমন্ত্রী এমনভাবে ব্যাখ্যা করায় 'বর্ষসেরা অস্ট্রেলিয়ান' গ্রেস টেম তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, 'আমাদের প্রধানমন্ত্রী "বিপজ্জনক" বার্তা দিয়েছেন।'
টেম এক টুইটে বলেন, 'এটা নিশ্চিত যে, ভালোবাসাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে সহিংসতার জন্য সহানুভূতি দেখানো একজন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে একটি ভয়ঙ্কর বার্তা। এই ধরনের বার্তাগুলো বিপজ্জনক। তারা ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতাকে শক্তিশালী করে।'
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এমন সময়ে এই 'চড়কাণ্ড' সমর্থন করলেন, যখন অস্কারের তত্ত্বাবধানকারী সংস্থা মার্কিন অভিনেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কার্যক্রম শুরু করেছে।
সংগঠনের সম্মান লঙ্ঘনের জন্য স্মিথের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত বুধবার গভর্নর বোর্ড বৈঠক করেছে।
একাডেমি বলেছে, স্মিথের জন্য তারা বহিষ্কার বা অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।
সোমবার স্মিথ একাডেমি, রক এবং দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেছেন, 'আমি ভুল করেছি।'
স্মিথ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আগামী ১৮ এপ্রিল অস্কার একাডেমি আরেকটি সভা আহ্বান করেছে। তবে বৈঠকের আগে স্মিথের একটি লিখিত প্রতিক্রিয়ায় আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ আছে।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
Comments