সাকিবের অনুপস্থিতিতে এই সমন্বয়ই ‘সেরা ফর্মুলা’
ডারবানে প্রথম সেশনেই আরেকজন বোলারের অভাব টের পেয়েছে বাংলাদেশ। পুরোদিনে সেই অভাব ঘুরে ফিরে এসেছে অল্প বিস্তর। অন্তত আরেকজন স্পিনার থাকলে দলের যে বাড়তি সুবিধা হতো সেটা আড়াল করেননি কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তবে সাকিব আল হাসান না থাকায় সে উপায়ও নেই।
টেস্টে সাকিবকে নিয়মিতই পাচ্ছে না বাংলাদেশ। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার খেলার কথা থাকলেও স্বজনদের অসুস্থতা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সাকিবকে ছাড়া নিউজিল্যান্ডেও চার বোলার নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। কঠিন সেই কন্ডিশনে এসেছে ঐতিহাসিক জয়ও।
বর্তমান স্কোয়াড থেকে আরেকজন স্পিনার রাখতে হলে খেলাতে হতো তাইজুল ইসলামকে। সেক্ষেত্রে ব্যাটসম্যান থাকত একজন কম। একাদশে চার বোলার রাখার কারণ তাই ব্যাটিংয়ে নিরাপত্তা বাড়ানো। সাত নম্বরে সেখানে থাকেন একজন প্রপার ব্যাটসম্যান। এই ম্যাচে যেমন আছে ইয়াসির আলি রাব্বি।
তবে বল করতে গিয়ে প্রতিপক্ষ যখন বড় জুটি গড়ে উঠে তখন আরেকজন বোলারের অভাব বড় হয়ে যায়। ডারবানে বৃহস্পতিবার প্রথম সেশনেই যেটা মনে হলো ভালভাবে। একজন পেস অলরাউন্ডার থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকা খেলছে ৫ বোলার নিয়ে। সেখানে আছেন দুই স্পিনার। বাংলাদেশ একজনের বেশি স্পিনার রাখতে পারেনি।
দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের কোচ জানালেন, পাঁচ বোলার থাকলে ভালো হতো। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে ব্যাটিংয়ে শক্তি কমার চিন্তাও পেয়ে বসে তাদের, 'পাঁচ বোলার খেলানো হতো আদর্শ। আমার মনে হয় সাকিবের মতো অলরাউন্ডার এই জায়গায় ব্যবধান গড়ে দেয়। কারণ এমন অবস্থায় (সাকিব না থাকলে) নিশ্চিত ব্যাটিংয়ে শক্তি বাড়াব নাকি বোলিংয়ে।'
আপাতত এক প্রান্তে মিরাজকে দিয়ে লম্বা স্পেল করানোর পাশাপাশি বাকিদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বল করিয়েই কাজ সারবে বাংলাদেশ। সাকিবের বদলি হিসেবে এরকম আর কাউকে না পাওয়ার আগ পর্যন্ত এটাই দলের সেরা ফর্মুলা, 'আমরা মনে করি মিরাজ অনেক লম্বা স্পেলে বল করতে পারে। এক প্রান্ত সে চালিয়ে নেবে। অন্য প্রান্তে আমরা পেসারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করি। আমরা যতখানি ভেবেছিলাম উইকেটে পেসারদের জন্য তত সহায়তা নেই। যত দিন না এমন কাউকে পাচ্ছি যে কাজটা করে দিতে পারে ততদিন পর্যন্ত সাকিবের অনুপস্থিতিতে এটাই সেরা ফর্মুলা।'
Comments