৯ বছর ধরে ডারবানে টেস্ট জেতে না দক্ষিণ আফ্রিকা
ঘরের মাঠে খেলা বলে সংশয় ছাড়াই ফেভারিট হওয়ার কথা দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু এক ঝাঁক নতুন খেলোয়াড় স্কোয়াডে থাকায় টেস্ট অভিজ্ঞতায় উল্টো বাংলাদেশ থেকে বেশ পিছিয়ে তারা। সেইসঙ্গে স্বাগতিকদের অস্বস্তি দিবে প্রথম টেস্টের ভেন্যু ডারবানের সাম্প্রতিক অতীতের ফলাফল।
ডারবানের কিংসমিডে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় প্রথম টেস্টে নামবে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু এই ভেন্যুতে প্রোটিয়ারা সর্বশেষ জিতেছিল সেই ২০১৩ সালে।
সেবার ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়েছিল তারা। সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন গ্রায়েম স্মিথ। জ্যাক ক্যালিস, এবিডি ভিলিয়ার্স, হাশিম আমলা, ডেল স্টেইন, মরনে মরকেল, ভারনন ফিল্যান্ডারদের নিয়ে ছিল সেরা স্কোয়াড।
সেই দিন গত হওয়ার সঙ্গে বদলে গেছে ছবিও। ডারবানে এরপর আরও চার টেস্ট খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সফরকারী দলগুলোর সঙ্গে তিনটাই হেরেছে, ড্র করেছে একটিতে। অর্থাৎ এই মাঠে ৯ বছর ধরে টেস্টে জয়ের দেখা পায়নি স্বাগতিকরা।
২০১৫ সালে ইংল্যান্ডের কাছে ২৪১ রানে হারে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১৬ সালে বৃষ্টির কারণে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হয় ড্র। ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারে ১৮ রানে। ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার কাছে ১ উইকেটে হার মানে ডিন এলগারের দল। শ্রীলঙ্কানদের কাছে ২০১১ সালেও এই ভেন্যুতে ম্যাচ হেরেছিল প্রোটিয়ারা।
ডারবানকে মনে করা হয় দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে মন্থর ভেন্যু। যেখানে স্পিনাররা পান সহায়তা। তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক মনে করেন, এবার পেস বান্ধব উইকেটেই খেলা হতে যাচ্ছে। যাতে ব্যাটসম্যানদের পক্ষেও রান করার সুযোগ থাকবে বিস্তর।
বাংলাদেশের স্কোয়াডের সম্মিলিত ৩৬২ টেস্টের অভিজ্ঞতার তুলনায় ২৬২ টেস্টের অভিজ্ঞতা নিয়ে বেশ পিছিয়ে স্বাগতিকরা। অধিনায়ক এলগার, সহ-অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা আর বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজ ছাড়া বাকিদের প্রায় সবাই অনভিজ্ঞ।
প্রতিপক্ষের অনভিজ্ঞতা, এই ভেন্যুতে তাদের সাম্প্রতিক রেকর্ড নিশ্চিতভাবেই আশা বাড়াচ্ছে বাংলাদেশের। তবে ম্যাচ জিততে হলে সেরাটা নিংড়ে দেওয়ার কোন বিকল্প দেখছে না মুমিনুল হকের দল। দক্ষিণ আফ্রিকায় এর আগে খেলা ৬ টেস্টের পাঁচটিতেই ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ, অন্যটিতে ইনিংস হার না এলেও ব্যবধান বড়। এমন একপেশে ফলের বিপরীতে এবার একদম ভিন্ন কিছু করার আভাস শুরুতেই পাওয়া যাচ্ছে।
Comments