নতুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তৈরির কথা ভাবছেন ইলন মাস্ক

জার্মানিতে টেসলার নতুন কারখানা উদ্বোধন করছেন ইলন মাস্ক। ফাইল ছবি: রয়টার্স

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক গত শনিবার এক টুইটবার্তায় জানান, তিনি নতুন একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তৈরির বিষয়টি 'গুরুত্ব সহকারে ভাবছেন'।

সিএনএন'র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইলন মাস্ক টুইটারের সমালোচনা করে বলেন, 'এই প্ল্যাটফর্ম বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারে না।'

তিনি টুইটারকে 'ডি ফ্যাক্টো পাবলিক টাউন স্কয়ার' বলে অভিহিত করেন এবং জানান, প্ল্যাটফর্মটি বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা গণতন্ত্রের মৌলিক অবমাননা ঘটাচ্ছে।

পরবর্তী টুইটবার্তায় ইলন মাস্ক জানতে চান, নতুন কোনো প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা।

গত শুক্রবার আরেকটি টুইটবার্তায় তিনি অনুসারীদের কাছে জানতে চান, 'বাকস্বাধীনতা একটি কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য আবশ্যক। আপনি কী বিশ্বাস করেন টুইটার এই নীতি পুরোপুরি মেনে চলছে?'

এই প্রশ্নের উত্তরে 'না' ভোট দেন ৭০ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ। 'হ্যাঁ' ভোট দেন ২৯ দশমিক ৬ শতাংশ অনুসারী। মোট ২০ লাখ ৩৫ হাজার ৯২৪ জন টুইটার ব্যবহারকারী এই সমীক্ষায় অংশ নেন।

উল্লেখ্য, টুইটারে ইলন মাস্কের মোট অনুসারীর সংখ্যা ৭ কোটি ৯৩ লাখেরও বেশি।

নতুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তৈরির ধারণায় ইলন মাস্কই প্রথম নন। বেশ কিছু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব প্রথাগত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে মনোনিবেশ করছে এবং প্রত্যেকেই টুইটারে 'বাকস্বাধীনতা' না থাকার বিষয়টিকে উল্লেখ করছে।

ইতোমধ্যে টুইটার থেকে নিষিদ্ধ হওয়া সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ফেব্রুয়ারিতে 'ট্রুথ সোশ্যাল' নামের সামাজিকমাধ্যম চালু করেছেন।

রামবল, পার্লার, গেটার ও অন্যান্য কিছু সেবা প্রথম সারির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিকল্প হিসেবে নিজেদেরকে তুলে ধরার চেষ্টা করছে।

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Discrimination Students Movement

Students to launch political party by next February

Anti-Discrimination Student Movement and Jatiya Nagorik Committee will jointly lead the process

10h ago