সাফল্যের পেছনের রহস্য জানালেন তাসকিন
সময়ের হিসাবে প্রায় আট বছর। মাঝে খেলেছেন ৪৬ ম্যাচ। বেশ কয়েকবার নিয়েছেন ৪ উইকেট। কিন্তু অভিষেক ওয়ানডের পর ৫ উইকেটের স্বাদ আর পাওয়া হচ্ছিল না তাসকিন আহমেদের। সেই অপেক্ষা ঘুচল দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে স্বাগতিকদের গুঁড়িয়ে দিয়ে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার ফাইফার নেওয়ার পর বাংলাদেশের এই ডানহাতি পেসার জানালেন তার সাম্প্রতিক সাফল্যের পেছনের রহস্য।
সেঞ্চুরিয়ানে বুধবার ম্যাচ জেতানো বোলিং উপহার দেন তিন বছর আগে জাতীয় দলে ব্রাত্য হয়ে পড়া তাসকিন। ৯ ওভারে মাত্র ৩৫ রান দিয়ে তিনি শিকার করেন পাঁচ প্রোটিয়া ব্যাটারকে। তার স্মরণীয় দিনে বাংলাদেশ পায় ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের তৃপ্তি। টাইগাররা দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের মাটিতে হারিয়ে দেয় ২-১ ব্যবধানে। সুপারস্পোর্টস পার্কে হাতের জাদু দেখিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ ও ম্যান অব দ্য সিরিজের দুটি পুরস্কারই বগলদাবা করেন তাসকিন।
ইনিংস বিরতির সময় তাসকিন জানান, নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বাজে সময় পেছনে ফেলে ক্যারিয়ারে নতুন সূর্যোদয়ের দেখা পেয়েছেন তিনি, 'নিজের প্রক্রিয়ার ওপর আমার এখন অনেক বিশ্বাস। শেষ এক, দেড় কিংবা দুই বছর এভাবেই অনুসরণ করে আসছি। এটাই আমার সাফল্যের রহস্য।'
অঘোষিত ফাইনালে রূপ নেওয়া তৃতীয় ওয়ানডের মাঝপথেই বাংলাদেশের দিকে জয়ের পাল্লা ভারী হয়ে যায়। এর পেছনে মূল অবদান ঘুরে দাঁড়ানোর মধুর গল্প লেখা তাসকিনের। গত এক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে ভালো করা এই গতি তারকার অসাধারণ নৈপুণ্যে ৩৭ ওভারে মাত্র ১৫৪ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। পরে অধিনায়ক তামিম ইকবালের অপরাজিত ফিফটিতে ৯ উইকেটের বিশাল জয় পায় বাংলাদেশ।
নিজের বোলিং নিয়ে সন্তুষ্টি ঝরে তাসকিনের কণ্ঠে, 'নিজের পারফরম্যান্সে আমি দারুণ খুশি। আমি নিজের প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা রেখেছি এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছি। আমি উইকেট থেকে কিছুটা বাউন্স পেয়েছি। তাই নিজের লাইন ও লেন্থ ঠিক রাখার চেষ্টা করেছি এবং কিছু ভ্যারিয়েশন করেছি।'
Comments