৩ দিনেই ডাল শেষ, চট্টগ্রামে টিসিবির পণ্য বিক্রি বন্ধ
সারাদেশের মতো গত ২০ মার্চ সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ড, ১৫ উপজেলার ১৯১ ইউনিয়ন এবং ১৫ পৌরসভায় একযোগে টিসিবির স্বল্পমূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু হয়।
তবে মাত্র তিন দিনেই ডালের মজুদ স্বল্পতার কারণে বেশিরভাগ ওয়ার্ডে আজ টিসিবির ট্রাকের মাধ্যমে বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
চট্টগ্রামে কয়েকটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করেন তাহমিনা খাতুন। আজ মঙ্গলবার তিনি শহরের আন্দরকিল্লা এলাকায় একটি ট্রাকের সামনে লাইন দিয়ে দাঁড়ান। প্রায় ২ ঘণ্টা অপেক্ষার পর তিনি জানতে পারলেন আজকের বিক্রয় কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
তাহমিনা বলেন, 'আমি আজকে কাজ থেকে ছুটি নিয়ে এখানে এসেছি। এ মাসে আমাকে আর ছুটি দেওয়া হবে না। কীভাবে আমি আমার ফ্যামিলি কার্ড ব্যবহার করব?'
ডালের মজুদ স্বল্পতার কারণে শহরের বেশিরভাগ ওয়ার্ডে টিসিবির ট্রাকের মাধ্যমে বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। সূত্র বলছে, শহরের ৪১ ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ১০ থেকে ১২টি ওয়ার্ডে আজ ট্রাকের মাধ্যমে বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩২ নং ওয়ার্ডের (আন্দরকিল্লা) কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তিনি এ বিষয়ে আগে থেকে কিছু জানতেন না।
তিনি বলেন, 'আমাকে দুপুরের ঠিক আগে টিসিবি থেকে জানানো হয়, ডালের স্বল্পতার কারণে আজ ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।'
'আমাকে যদি বিষয়টা আগে জানানো হতো, তাহলে আমি তথ্যটি আমার এলাকাবাসীকে জানিয়ে দিতাম। কাউকে সমস্যায় পড়তে হতো না', বলেন তিনি।
গত ২০ মার্চ জেলায় এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান। উদ্বোধনের সময় তিনি জানান, প্রথম পর্যায়ে এই কার্যক্রম ৩০ মার্চ পর্যন্ত চলবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সহকারি কমিশনার তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শিগগির ঢাকা থেকে ডাল আসবে এবং ট্রাকের মাধ্যমে বিক্রয় কার্যক্রম আগামীকাল বুধবার থেকে স্বাভাবিকভাবে চলবে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রামের টিসিবির আঞ্চলিক প্রধান জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'আমাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ চিনি ও তেল থাকলেও ডালের মজুদে ঘাটতি রয়েছে। এ কারণে কিছু কিছু জায়গায় ট্রাকের মাধ্যমে বিক্রির জন্য নির্ধারিত প্যাকেজটি তৈরি করতে পারছি না।'
ডালের মজুদ কেন ৩ দিনের মাথায় ফুরিয়ে গেলো জানতে চাইলে জামাল উদ্দিন এর কোনো উত্তর দেননি। ।
Comments