বাংলাদেশে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায় সৌদি আরব
বাংলাদেশে ১৫টি বড় ও ছোট প্রকল্পে ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে সৌদি আরব।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ আজ মঙ্গলবার থেকে তার ২ দিনের ঢাকা সফরে প্রকল্পগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কোম্পানি আরামকো একটি তেল শোধনাগার নির্মাণ, পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণে আগ্রহ দেখিয়েছে। এর জন্য খরচ হবে দেড় থেকে ২ বিলিয়ন ডলার।
সৌদি প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ারিং ডাইমেনশন এলএলসি বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিষয়ে অনেক বেশি উৎসাহী। প্রতিষ্ঠানটি ৭টি প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী এবং গত বছরের নভেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনের সময় প্রায় ১ দশমিক ৬৮৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে যেসব প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে তাদের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং ডাইমেনশন অন্যতম।
কিছু সৌদি বিনিয়োগ ইতোমধ্যে পাইপলাইনে রয়েছে। তার মধ্যে আছে পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্বে রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল দিয়ে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের উন্নয়ন।
গতকাল সোমবার টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে সিরাজুল ইসলাম বলেন, 'আমরা কতটা সফলভাবে পাইপলাইনে থাকা কাজগুলো পরিচালনা করতে পারব তার ওপর আরও সৌদি বিনিয়োগ অনেকাংশে নির্ভর করবে।'
বোয়িং স্বীকৃত আল-সালাম একটি উড়োজাহাজ শিল্প এলাকা প্রতিষ্ঠার জন্য ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। এ ছাড়াও আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য জ্বালানি সংস্থা এসিডাব্লিউএ পাওয়ার চট্টগ্রামে একটি ৭৩০ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
৪৫টি হোটেল, রিসোর্ট এবং থিম পার্কের মালিক আল-হোকাইর গ্রুপ বাংলাদেশের পর্যটন খাত বিকাশে প্রায় ৩০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায়।
যৌথ উদ্যোগে ১০০ মেগাওয়াট আইপিপি সৌর প্রকল্প নির্মাণে ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায় আল-ফানার। আল বাওয়ানি নির্মাণ ও প্রকৌশল প্রকল্পের জন্য দক্ষ মানব সম্পদের কর্মসংস্থানে প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে আগ্রহী।
২০২০ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) সঙ্গে বিদ্যমান একটি মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মা'ডেন এবং হানওয়া বাংলাদেশে ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সরবরাহের জন্য একটি সংশোধিত প্রস্তাব জমা দিয়েছে।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, সৌদি বিনিয়োগের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে, তারা 'সরকারি খাতের দিকে বেশি ঝুঁকেছে'।
Comments