নাঈম টি-টোয়েন্টিতে আমাদের সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কধারী ব্যাটসম্যান: ডমিঙ্গো 

naim sheikh
লাল বলের অনুশীলনে আলো কাড়তে পারেননি নাঈম শেখ। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

দিনের পর দিন নেতিবাচক অ্যাপ্রোচে ব্যাট করে যাওয়া নাঈম শেখ ব্যর্থ হলেও তার পক্ষে সাফাই গাইলেন বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। ব্যাটিংয়ের ধরণ নিয়ে অনেক প্রশ্নের মুখে থাকা এই ওপেনারকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা নেই তাদের। বরং তিনি বলছেন টি-টোয়েন্টিতে নাঈমই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কধারী। 

টি-টোয়েন্টির র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী নাঈম শেখের অবস্থান ২৫ নম্বরে। এর উপরে নেই আর কোন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান। কিন্তু আইসিসির এই র‍্যাঙ্কিং পদ্ধতি দেয় না বাস্তবতার ছবি। যেমন টি-টোয়েন্টির র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী নাঈমের পেছনে থাকা ব্যাটসম্যানরা হলেন জনি বেয়ারস্টো, এভিন লুইস, ফখর জামান, সুর্যকুমার যাদব, ডেভিড মিলার- এরকম বড় বড় নাম। স্কিল, রেকর্ড, সামর্থ্য কোন কিছুতেই এসব খেলোয়াড়ের ধারেকাছেই নেই নাঈম।

মূলত গত বছর নাঈমের থেকে বেশি ম্যাচ খেলেছেন আর কেবল ৩ জন ব্যাটসম্যান।  বেশি ম্যাচ খেলায় তার রান সংখ্যা এমনিতেই ভাল জায়গায় যাওয়ার কথা ছিল। ২৬ ম্যাচ খেলে ৫৭৫ রান করেছেন তিনি মাত্র ১০০ স্ট্রাইকরেটে। র‍্যাঙ্কিংয়ের অটোমেটেড সফটওয়্যারে স্ট্রাইকরেট ফ্যাক্টর না থাকায় তার অবস্থান হয়ে যায় এমন।  

শনিবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে ওপেন করতে নেমে ১৯ বলে ১৩ রান করেন নাঈম। তার কারণে অসংখ্য ম্যাচে পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে পারেনি দল। বিপিএলেও নাঈম ছিলেন ব্যর্থতার আরেক নাম। মাত্র ৮ গড় আর ৮০র নিচে স্ট্রাইকরেট ছিল তার। 

ম্যাচ হারার পর নাঈম নিয়ে প্রশ্ন উঠলে অনেকটা চটে গিয়ে তার পক্ষ নিলেন ডমিঙ্গো,  'পাঁচ ম্যাচ আগে সবাই বলছিল লিটনকে বাদ দেওয়া উচিত। এখন সবাই বলছে লিটন বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। কখনো কখনো খেলোয়াড়দের এমন ছন্দপতন হয়। ওই সময়টায় কোচ ও নির্বাচকদের পাশে থাকা গুরুত্বপূর্ণ।'

'আজ খেলার জন্য নাঈম ঠিক পছন্দ ছিল। টি-টোয়েন্টিতে সে আমাদের সর্বোচ্চ রেটেড ব্যাটসম্যান। যদি মিডিয়া সেটা না জানে। জায়গাটা তার প্রাপ্য।'

নাঈমকে দলে রাখার পেছনে যুক্তি গত বছরে তিনি বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন। কিন্তু গত বছর ২৬ ইনিংসে ৫৭৫ রান করেন তিনি কেবল ১০০.৩৪ স্ট্রাইক রেটে। যেসব ম্যাচে বড় রান করেছেন সেসব ম্যাচেও স্ট্রাইকরেট ছিল মন্থর। বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৭ রান করতে খেলে ফেলেন ৫০ বল। টি-টোয়েন্টিতে একজন ব্যাটসম্যান ৫০ বল খেলে ৪৭ করলে ওই দলের জেতার সম্ভবনা অনেকটাই মিইয়ে যায়। 

কিন্তু এসব কিছু আমলে না নিয়ে নাঈমকে আরও অনেক সুযোগ দেওয়ার ভাবনা দেখালেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ। প্রশ্নের মুখে সুযোগ পাওয়া নাঈম আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেও ছিলেন মলিন। ৫ বল খেলে ফেরেন ২ রান করে। সে ম্যাচে তিনি আগেভাগে আউট হওয়ায় পাওয়ার প্লেতে অতটা সমস্যা হয়নি। দ্বিতীয় ম্যাচে ১৯ বল খেলে তার ১৩ রান ম্যাচে রেখেছেন নেতিবাচক প্রভাব।  
 

Comments

The Daily Star  | English

Israeli strike hits military base south of Tehran

An Israeli attack on Saturday in Iran's west killed at least five army personnel and wounded nine others, Iranian media reported

1h ago